গচ্ছিত পণ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন আমদানিকারকরা

24

খাতুনগঞ্জের বড় গুদাম ব্যবসায়ী আব্দুল মালেককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই ব্যবসায়ীর ভাড়া করা গুদামে যারা পণ্য রেখেছেন, তাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কারণ, গুদাম থেকে বিটুমিন সরিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর বাইরে অন্য পণ্য সরিয়ে নেওয়া হয়েছে কি না, তা নিয়ে আমদানিকারকরা আতঙ্কে রয়েছেন।
জানা গেছে, ওই গুদামের কোন স্টাফকেও পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে ব্যবসায়ীদেও মাঝে।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা মালেক মাঝির গুদামে পণ্য রাখলেও শনিবার থেকে ব্যবসায়ীরা ডিও নিয়ে গেলে মালেক মাঝির গুদাম তালাবদ্ধ ও কোন স্টাফকে পাওয়া যায়নি। তাদের মোবাইলে যোগাযোগ করলে সবার মোবাইল ফোন একযোগে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে সকল ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে আব্দুল মালেকের গুদামে থাকা পণ্য উদ্ধারের জন্য আবেদন করেন।
গুদাম ব্যবসায়ীদের সংগঠন চট্টগ্রাম ওয়্যার হাউস কমিশন এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, আব্দুল মালেক গুদাম ছেড়ে চলে গেছেন বিষয়টি সত্য। স্টাফরাও কেউ নেই। স্টাফ থাকলে যা পণ্য আছে, তা ব্যবসায়ীদের দিয়ে দিতে পারতাম। শুনেছি শনিবার গুদাম থেকে বিটুমিন খালাস নিতে যান ওই ব্যবসায়ী। তখনই গুদামে বিটুমিন না থাকার বিষয়টি ফাঁস হয়।
আলী আহমদ আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে আবদুল মালেকের যেসব গুদাম আছে, সেগুলো থেকে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয় সমিতি থেকে। যাদের পণ্য আছে, তাদের অভিযোগ জানাতে বলেছি। অনেক আমদানিকারকের বিটুমিন, চাল, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য মালেক মাঝির গুদামে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন। সব অভিযোগ পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।
ওয়্যার হাউস কমিশন এজেন্টরা জানান, নগরের মাঝিরঘাট, সাগরিকা, পোর্ট কলোনি, ফৌজদারহাটসহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত গুদাম পণ্য রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের ভাড়া দিয়েছিলেন আবদুল মালেক। তবে তার গুদামগুলোতে ঠিক কত পণ্য আছে, তা সরেজমিনে যাচাই ছাড়া এখনই বলা যাবে না।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম পূর্বদেশকে জানান, বিষয়টি আমাদেরকে জানানো হয়েছে। আমরা সমাধান করার চেষ্টা করছি। তার (আব্দুল মালেকের) পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে গুদামে আনতে পারলে আমরা সমাধান করে ফেলতে পারব।