কুতুবদিয়ায় ভিটি আছে ঘর নেই প্রকল্পের ঠিকাদার উধাও

43

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রতি বাস্তবায়ন প্রকল্প ভিটি আছে ঘর নেই কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপে দরিদ্র পরিবারের লোকজন খোলা আকাশের নীচে থাকলেও কারো মাথা ব্যাথা নেই। চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থ বছর নভেম্বর/১৯ মাসে কুতুবদিয়া দ্বীপের বড়ঘোপ ও আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে ৬টি প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে যার ভিটি আছে ঘর নেই প্রকল্পের কাজ শুরু করে। এ ঘর তৈরীর কাজ শুরু থেকেই অনিয়মের অভিযোগ উঠায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে করে চলে যায়। দীর্ঘদিন নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকার পরও কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস প্রাক্কলিত বরাদ্দের অর্ধেক বিল পরিশোধ করে দেয়।
এতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজের বিল উত্তোলন করার পর উধাও হয়ে যায়। বর্তমানে নির্মাণ কাজ শেষ না করায় ঘর মালিকগণ খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে। কুতুবদিয়া উপজেলা প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা যায়, দ্বীপের বড়ঘোপ ও আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে ভিটি আছে ঘর নেই প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ৬টি পরিবারে ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়। ইতোমধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ৭০ ভাগ কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে যায়। যার ফলে এ পরিবারগুলো খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে। বড়ঘোপ ইউনিয়নের নয়া পাড়ার বাসিন্দা সাফিয়া বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভিটি আছে ঘর নেই প্রকল্পের অধীনে তাকেও একটি ঘর দেয়া হয়েছে। বিগত ৯ মাস পূর্বে প্রকল্পের কাজ শুরু করলেও ঠিকাদার এখনো ঘর তৈরী করতে পারেনি। প্রাক্কলিত কাজের ৩০ ভাগ কাজ করে ঠিকাদার পলিয়ে যায়। বর্তমানে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে। গত ১৫ জুন সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রূতি ভিটি আছে ঘর নেই প্রকল্পের নির্মিত কাজে নি¤œমানের হওয়ায় অসমাপ্ত ঘরের দেয়াল ভেঙে পড়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকী না থাকার অভিযোগ তুলে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খোকন কান্তি দাসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, নিয়োজিত ঠিকাদার ৩০ ভাগ নির্মাণ কাজ করে উধাও হয়ে যায়। বারংবার ঠিকাদারকে কাজ সমাপ্ত করার জন্য তাগাদা দিলেও কাজ শেষ করছে না। বিগত ৪ মাস পূর্বে প্রাক্কলিত অর্থ বরাদ্দের ৩০ ভাগ কাজের টাকা ছাড় দেয়া হয়েছে। ঠিকাদার ওসমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বড়ঘোপ ও আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভিটি আছে ঘর নেই প্রকল্পের ৬টি ঘরের জন্য বরাদ্দ দেন। প্রতিটি ঘরের জন্য ২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। বর্তমানে ৬টি ঘর নির্মাণের জন্য কুতুবদিয়া উপজেলা প্রকল্প অফিস এ পর্যন্ত ৫ লাখ টাকা ছাড় দিয়েছে। তার দাবি ৬টি ঘর নির্মাণে ৯ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। তাকে প্রকল্প কাজের বরাদ্দের ব্যয়কৃত বিল ছাড় না দেয়ায় বাকি কাজ শেষ করতে পারছে না। সূত্রে আরো জানা যায়, লকডাউনের কারণে মালামালের দাম বৃদ্ধি থাকায় নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার এ প্রকল্প কাজের কর্তৃপক্ষ পিআইও অফিস ও উপজেলা প্রশাসনের দাবীকৃত টার্গেট পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় হিসাব মিলাতে গিয়ে ঘর তৈরীর কাজ শেষ করতে পারছেন না তিনি।