কাশ্মির ইস্যুতে ভারতকে ‘স্তম্ভিত’ করলো রাশিয়া

30

দিল্লিকে অবাক করে শুক্রবার রাশিয়া কাশ্মির সংকট সমাধানে জাতিসংঘের চার্টার ও রেজুলেশন অনুসরণের আহবান জানিয়েছে। একই সঙ্গে দেশটি আশা প্রকাশ করেছে ভারত ও পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় সংকটটির সমাধান করবে।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ড জানিয়েছে, শুক্রবার কাশ্মির ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে রাশিয়া জানিয়েছে, তারা আশা করে কাশ্মির নিয়ে বিরোধ সমাধানে ভারত ও পাকিস্তান জাতিসংঘের চার্টার, সংশ্লিষ্ট রেজুলেশন এবং দ্বিপক্ষীয় চুক্তি মেনে চলবে। রাশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে অংশ নেওয়া রুশ কূটনীতিক দিমিত্রি পলিয়ানস্কি টুইটারে লিখেছেন, রাশিয়া সব সময়েই ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পক্ষে জোর দিয়ে আসছে।
রুশ কূটনীতিক আরও লিখেছেন, আমরা আশা করি কাশ্মির বিরোধ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধান হবে। যার ভিত্তি হবে ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি ও ১৯৯৯ সালের লাহোর ঘোষণা এবং জাতিসংঘের চার্টার, জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট রেজুলেশন এবং ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি।
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ অধিকার বাতিলের পর শুক্রবার চীনের আহŸানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এক অনানুষ্ঠানিক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে। ১৯৭১ সালের পর কাশ্মির ইস্যুতে এই প্রথমবারের মতো বৈঠক করলো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকটি আনুষ্ঠানিক না হওয়ায় এর ফলাফলের কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে না। বৈঠকে হাজির হয়নি ভারত ও পাকিস্তান। এই বৈঠকে যোগ দিতে পারে শুধু পাঁচ স্থায়ী ও ১০টি অস্থায়ী সদস্য। ৯০ মিনিটের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে চীন কাশ্মির পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বললেও নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি দিতে সম্মত হয়নি সদস্য রাষ্ট্রগুলো। ভারতের বিস্মিত হওয়ার কারণ হলো কাশ্মির সংকট সমাধানে জাতিসংঘের চার্টার ও সংশ্লিষ্ট রেজুলেশনের ওপর রাশিয়ার গুরুত্বারোপ করা এবং বিষয়টি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সমঝোতা। দীর্ঘদিন ধরেই ভারত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বা নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মির বিরোধ উত্থাপনের ক্ষেত্রে সিমলা চুক্তি ও লাহোর ঘোষণাকে হাতিয়ার করে পাকিস্তানকে ঠেকিয়ে আসছে। ভারত সব সময় দাবি করে আসছে, কাশ্মির ইস্যু তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।