কাকচোর

96

সরল মন সবসময় হাসে
মনের মনকে ভালোবাসে।
খিলখিলিয়ে হেসে উঠে রোজ
অনিন্দ্যসুন্দর হয় পূজার ভোজ।।
এসব দেখে ঈর্ষান্বিত হয় কাকচোর।

মনের ভিতর মন হাসে না
মনের ভিতর অস্বস্তি দিনরাত যাতনা।
যত ভাবে খুশীতে রাখবে মন
ফন্দিবাজে আটকা পড়ে সারাক্ষণ।
এই তো মিলবে মুক্তি
ক্লান্ত হয় মন,ফিরে না স্বস্তি।

মনে থাকে না মানুষের কথা
বুঝে না জীবন এক আঁকা নকশীকাঁথা।
সেলাইয়ের কারুকাজে ফুটে উঠে
ঈর্ষার আগুন মনের ঠোঁটে।।

ঠোঁটের দোষ দিয়ে কি লাভ
হিংসা,অহংকার, ঈর্ষা এসব নিত্য সংলাপ।
সব সংলাপে উঠে আসে জীবনের বিকৃত রূপ
অতৃপ্তির কল্লোলে মুখের সুর বাজে অপরূপ।।

কাকতাডুয়ার পকেটে শীত
বিবিকা দেব

ঢুলুঢুলু ঘুম চোখে শীতকে আলতো ছুঁয়ে দেখি
উষ্ণ কম্বলের নীচে। একটু ছোঁয়া পেলেই গুটিয়ে থাকে
লজ্জাবতী লতার মতো। কখনো বসে থাকে শিশির হয়ে
সবুজ ঘাসের ডগায়। বাতাসের সাথে খেলে লুকোচুরি।
লুকিয়ে পড়ে কলাপাতার ভাঁজে। কখনো সোয়েটারে
সুতোর ফাঁকে শীতের আলিঙ্গন। সেই শাদা সোয়েটারে
নির্যাসিত উষ্ণতা শীতের সখ্যতা। আবার কখনো
মাটির কলসের জল হয়ে নিঃশব্দে থাকে ঘুমিয়ে।

শীত জেগে উঠে শুকনো পাতার মর্মর শব্দে।
ল্যাম্প পোষ্টের আলোয় শীতের অপেক্ষায় থেকেছে যে প্রেমিক,
তার জমা ছিল এক বুক উষ্ণতা। কাকতাডুয়ার শার্টের পকেটে।
খালী পায়ে লাঙল কাধে হেঁটে আসা চাষীর কোচড়ে
আর ক্ষয়ে যাওয়া লাঙলের ফলার আঘাতে শিশির বিন্দু।

একদিন বাবুদিঘীর পাড়ে
রুদ্র সাহাদাৎ

আগুনের পরশমনির নিকটবর্তী আদিনাথের দেশে
বাবু দিঘীর পাড়ে
-জলের ভাঁজ দেখেছি
– জলের নৃত্য দেখেছি
শন শন শন শন তীব্র বেগে
ছলাৎ ছলাৎ শব্দ সঙ্গীত যোগে…

হাওয়ায়
হাওয়ায়
ঢেউয়ে
ঢেউয়ে।

গোধূলি বেলায় একঝাঁক কবি সৃজনশীল আড্ডা দেয়,

আর একদল মানুষ রাজনীতির কৌশল খুঁজে।

জল ও তেলে যেমন মিলেনা-
কবিদের সাথে সুবিধাবাদী মানুষের কোনো মিল নেই,

একদিন বাবুদিঘীর পাড়ে বসে তাই
-অনেকক্ষণ নিঃশব্দে দেখেছিল দু’চোখ-বোবামুখ ।

সুবর্ণা ঘরে
মিসির হাছনাইন

-এবং আমিও বুঝতে পেরেছি,
মেয়েটা মাত্রা অতিরিক্ত ভালোবাসে আমাকে।
মেয়েটা, খুব ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছে আমার ভালোবাসা, কেমন প্রেমিক আমি।
আমি হাসতে লাগলাম…

-বেশি ভালোবাসায় মেয়েরা পাগল হয়ে যায়। বমি করে প্রেমিকের ঘাড়ে।

-জানিস! মেয়েটা খুলে দিয়েছিল তাঁর শরীর!
লাল ঠোঁট কামড়ে ধরলে ভাঙায় তোলা শরপুটি মাছের মতন লাফাতে থাকে।

-তারপর!!!

-অন্ধকারের বুনোফুল, ঝরে পড়া মরাপাতা’রা,
আশেপাশের ঝোপঝাড়, রাতের গুনগুন আমাদের দেখেছিল, শাল মহুয়ার বন।

-সুবর্ণা ঘরে… শুয়ে আছে দেহখানি
সাপের নৃত্য দেখবো তবে,
সাপের বিষে মরি।

-আমি যে ভালোবাসতে জানি না।
আমি যে তাকে ভালোবাসতে পারি না।
আমি যে তাকে ভালোবাসতে পারি না।