কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী উদার

28

সরকারি কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজে বিদেশ সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদার দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মান্নান বলেন, আমি একটু রক্ষণশীল মানুষ। বয়স বেশি হয়ে গেছে। আগের জমানায় চাকরি করেছি। প্রধানমন্ত্রীর উদারতা দেখে অবাক হই। আমার ক্ষুদ্র শক্তি দিয়ে সামান্য বলি। কিন্তু তিনি বলেন যে না, আমাদের লোকেরা করুক, খাক, ভালো করে বসবাস করুক।
সম্প্রতি ওয়াসা কর্মকর্তাদের উগান্ডা সফর নিয়ে কেবিনেটের আলোচনার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, এই বিদেশ যাওয়া নিয়ে খবরের কাগজে আপনারা দেখেছেন সাম্প্রতিক সময়ে, সাংবাদিক ভাইয়েরা লিখেছেন। সরকারি কর্মকর্তারা এই চট্টগ্রামেই তো বোধহয় পুকুর কাটা নিয়ে চট্টগ্রামের কোনো একটা কর্তৃপক্ষের উগান্ডা যাবে বলে একটা নিউজ …ও ওয়াসা, সারাদেশে আলোচিত। সে সুবাদে আমাদের একনেক সভায় এবং কেবিনেটেও অনেক আলোচনা হয়েছে। এবং অনেকে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। সবার শেষে সমাপনী বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। তবুও তো আমাদের লোকেরা কষ্ট করে, দূর-দূরান্তে থাকে, বেতন ভাতা অত দিতে পারি না। মাঝে মাঝে যদি একটু ব্যাংকক বা আমেরিকা যায় বা অস্ট্রেলিয়া যায়, যাক না ঘুরে আসুক।
প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় মান্নান বলেন, উনার যে দৃষ্টিভঙ্গি, এটা তুলে ধরলাম। তিনি অত্যন্ত উদার মানুষ।
খবর বিডিনিউজের
সবার পরিশ্রমের কারণে দেশে ‘পরিবর্তনের হাওয়া’ বইছে মন্তব্য করে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বিশেষ করে আমাদের শ্রমিক-কৃষক, মজুরি করে খান যে ভাই-বোনেরা, তারাই উৎপাদন করেন। চমৎকার সময় যাচ্ছে বাংলাদেশের। সুতরাং আমাদের সকলের আউট অব বক্স কিছু করার সুযোগ আছে।
একটা বিষয় এখানে এসেছে- কঠিন কাজ বা পাহাড়ি এলাকায় কাজ বা হাওর এলাকায় কাজ করার জন্য বাড়তি সম্মানি। হ্যাঁ একটা যুক্তি অবশ্যই আছে। মনে করি যে, বাড়তি কাজ করলে বাড়তি পারিশ্রমিক পাবে এটাও ঠিক। নানা ধরনের ভাতা কিছু শুরুও করেছে সরকার। মোট কথা যেটা বলার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিনি এসবের ব্যাপারে অত্যন্ত উদার।
সভায় সবার উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আমাদের আনন্দের বিষয় নেতা হিসেবে তিনি সারা বিশ্বে পরিচিত। বিশ্বের প্রথম কাতারের নেতা। তিনি প্রথম কাতারের নেতা হিসেবে আমাদের কাছ থেকে প্রথম কাতারের সহযোগিতা আশা করতে পারেন। কেবিনেটের একজন সদস্য হিসেবে আপনাদের জানিয়ে রাখলাম।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শঙ্কর রঞ্জন সাহার সভাপতিত্বে সভায় ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী।
২০১৭ ও ২০১৯ সালে কয়েক দফায় চট্টগ্রাম ওয়াসার একটি প্রকল্পের অধীনে নেদারল্যান্ডস ও উগান্ডা সফর করেন চট্টগ্রাম ওয়াসা ও মন্ত্রলালয়ের মোট ৫৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
‘চিটাগাং ওয়াটার সাপ্লাই ইম্প্রুভমেন্ট অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রজেক্ট’ বা সিডবিøউএসআইএসপি নামের এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন চট্টগ্রাম ওয়াসা। এই প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নেদারল্যান্ডসের আইএইচই এবং উগান্ডার ন্যাশনাল ওয়াটার অ্যান্ড স্যুয়ারেজ করপোরেশন।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দুটি দুই ভাগে ১৫ জনকে নেদারল্যান্ডসে এবং চার ভাগে ৪১ জনকে উগান্ডায় নিয়ে যায়।