কর্ণফুলী নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ শুরু আজ

123

চট্টগ্রামের প্রাণ কর্ণফুলী নদী রক্ষায় হাইকোর্টের দেয়া রায়ের ভিত্তিতে অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু হচ্ছে। আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে সদরঘাটস্থ চট্টগ্রাম বন্দরের লাইটার জেটি থেকে কর্ণফুলী নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনাসমূহ উচ্ছেদে কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে উচ্ছেদ অভিযানের প্রাক-প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক জরুরী বৈঠকে কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ২ হাজার ১৮১টি স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হাইকোর্ট ২০১৬ সালে কর্ণফুলী নদী দখল উচ্ছেদে রায় দিলেও অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় তা করতে পারেনি জেলা প্রশাসন। ভ‚মিমন্ত্রী এ ব্যাপারে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ছাড় দিলে উচ্ছেদ কার্যক্রমে গতি আসে।
পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) তাহমিলুর রহমান বলেন, ‘আমরা তিনটি জোনে বিভক্ত করে উচ্ছেদ কাজ চালাবো। সীমানা পিলার ধরেই উচ্ছেদ অভিযান চালাবো। তিন জোনের মধ্যে মধ্যম জোনেই স্থাপনা বেশি। যে কারণে সেখানে স্বাভাবিকভাবে চ্যালেঞ্জও একটু বেশি হবে। তাই আমরা সেখান থেকেই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করবো।’
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ১৮ জুলাই কর্ণফুলী নদী সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস এন্ড পীস ফর বাংলাদেশ’ এর পক্ষে এড. মনজিল মোরসেদ হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে নদী দখল করে গড়ে ওঠা স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এই মর্মে রুল জারি করেছিল আদালত। ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ কর্ণফুলী নদীর তীর দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা সরাতে ৯০ দিন সময় বেঁধে দিয়ে রায় দিয়েছিল।
কর্ণফুলী দখল উচ্ছেদ মামলার বাদি এড. মনজিল মোরসেদ পূর্বদেশকে বলেন, উচ্ছেদ হচ্ছে ভালো লাগছে। এতে আমরাও খুশি। ক্ষমতাশালী, প্রভাবশালীদের চাপে না থেমে এগিয়ে যেতে হবে। কর্ণফুলী উচ্ছেদে আমার নজর থাকবে। চিহ্নিত হওয়া প্রতিটি অবকাঠামোই যাতে উচ্ছেদ হয় সেদিকে নজর রাখবো।