কর্ণফুলীর তিনটি স্পটের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ

48

কর্ণফুলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বাস চালক হত্যা মামলায় আসামি সনাক্তে থানার ৩টি স্পটের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। কর্ণফুলী থানার বর্তমান ওসির উদ্যোগে শিকলবাহা ক্রসিং, কলেজবাজার ও মইজ্জ্যারটেকে কয়েক মাস আগে এসব সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল। ঘটনাস্থলের একেবারে কাছেই শিকলবাহা ক্রসিং। ওই ফুটেজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। চালক হত্যাকান্ডের পর শিকলবাহা ক্রসিংসহ থানার সব ভিডিও ফুটেজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কর্ণফুলী থানার ওসি আলমগীর মাহমুদ জানান, মামলা তদন্ত করছেন সিটি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। তদন্তকারী কর্মকর্তা চাইলে এসব সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করা হবে।
এদিকে চালক হত্যার প্রতিবাদে ২৪ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়া হলেও ১৮ ঘন্টা পর তা স্থগিত করা হয়। ৪ মে’র মধ্যে দাবি আদায় না হলে ৫ মে ফের বৃহত্তর চট্টগ্রামে ধর্মঘটের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবহন শ্রমিকদের ৪৫ সংগঠনের প্রতিনিধিদের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ মুছা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কর্ণফুলীর ভেল্লাপাড়ায় গাড়ি চালক জালাল উদ্দিনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল ১৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘট পালিত হয়। দাবি আদায় বা অগ্রগতি না হলে আগামি ৫ মে ফের ধর্মঘটের আল্টিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ মুছা জানান, ৪ মে তারিখের আগে ঘটনার রহস্য ও আসামিদের গ্রেপ্তার করা না গেলে ৫ মে বৃহত্তর চট্টগ্রামে পূণরায় সকাল-সন্ধ্যা সকল পরিবহন ধর্মঘট পালন করবে।
এদিকে ঘটনায় কারা জড়ির তা সনাক্ত করতে সংগ্রহ করা হয়েছে শাহ আমানত সেতুর সিসিটিভির একাধিক ভিডিও ফুটেজ। তবে এখনো কর্ণফুলী থানার স্থাপিত কোনো সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়নি। ঘটনাস্থলের কাছেই শিকলবাহা ক্রসিং এলাকায় কর্ণফুলী থানার সিসিটিভি স্থাপন করা আছে। সেটি পরীক্ষা- নিরীক্ষা করলে গুরুত্বপূর্ণ আলামত পাওয়া যেতে পারে বলে অনেকে মত দিয়েছেন। সে সাথে কলেজ বাজার ও মইজ্জ্যারটেকে কর্ণফুলী থানার একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা আছে। তবে তদন্তকারী দল থানার কোনো সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ বা পরীক্ষা করেনি বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মহিউদ্দিন বকুলের বালুর মহালের নৈশ্যপ্রহরী আবদুস ছবুর জানান, ঘটনার রাতে ৩ টি গাড়ি তাদের বালু মহালে পার্কিং করে। পরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কের ভেল্লাপাড়া এলাকায় জ্যাম সৃষ্টি করে শ্যামলী পরিবহনের নাইট কোচে তল্লাশি শুরু করে। এক পর্যায়ে শ্যামলী পরিবহনের গাড়ি চালক জালাল উদ্দিনকে নামিয়ে ইয়াবা উদ্ধারের নামে পেটানো হয়।
এই ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় জালালের ছোট ভাই জুয়েল হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট (সিটিটিসি) চট্টগ্রাম।
কর্ণফুলী থানার ওসি আলমগীর মাহমুদ জানান, চালক হত্যার ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের করা হলেও সেটি পরবর্তীতে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে হস্তান্তর করা হয়। গত বুধবার মামলার নথি তাদের কাছে প্রেরণ করা হয়। তারা এখনো থানার ক্যামেরাগুলোর ফুটেজ চায়নি। মামলার তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজন হলে এসব ফুটেজ তাদের হাতে তুলে দেয়া হবে।