এভারেস্টে দুই পর্বতারোহীর মৃত্যু

26

জয় করার ইচ্ছা যাদের রক্তে তাদের কাছে পৃথিবীর বাকি সব কিছু তুচ্ছ হয়ে যায়। পৃথিবীর উচ্চতম শৃঙ্গ এভারেস্ট। সর্বোচ্চ এই পর্বত জয়ের হাতছানিতে কত মানুষের প্রাণ গেছে তার হিসাব পাওয়া মুশকিল। মৃত্যুভয় নিয়েও অনেকে তাই এভারেস্ট জয়ের আকর্ষণ এড়াতে পারেন না।
সেই নেশায় পড়ে মৃত্যুবরণ করলেন ব্রিটিশ এবং আইরিশ দুই পর্বতারোহী। এভারেস্ট জয়ের স্বপ্ন নিয়ে তারা চূড়া জয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু তাদের এই যাত্রা শেষ হলো তাদের জীবনাবসানের মধ্য দিয়ে।
দুর্গম পাহাড়ের কোলেই চিরকালের মতো ঘুমিয়ে পড়লেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানাচ্ছে, গত এক সপ্তাহে এরকম আরও ছয় জন পর্বতারোহী তাদের স্বপ্নের চূড়া ছোঁয়ার আগেই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন।

এভারেস্ট পরিবার এক্সপেডিশনের সদস্য মুরারী শর্মা জানিয়েছেন, শনিবার ভোরে ৪৪ বছর বয়সী ব্রিটিশ পর্বতারোহী রবিন ফিশার এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছান। কিন্তু ফেরার পথে ১৫০ মিটার নীচে নামতে না নামতেই তুষারঝড়ে আটকা পড়েন। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। পর্বতারোহণ সংস্থা থেকে পাঠানো গাইড তাকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
অন্যদিকে, হিমালয় পর্বতের উত্তর তিব্বতের দিক থেকে চূড়ায় পৌঁছানোর জন্য যাত্র শুরু করেছিলেন ছাপ্পানো বছর বয়সী এক আইরিশ পর্বতারোহী। এভারেস্ট চূড়া জয় না করেই তিনি ফিরে আসছিলেন সমতলে। কিন্তু ফেরার পথে সমতল থেকে সাত হাজার মিটার উঁচুতেই মৃত্যু হয় তার। গত এক সপ্তাহে এই দুই পর্বতারোহী ছাড়াও এভারেস্টে যাত্রায় মৃত্যুবরণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড এবং নেপালের মোট চার পর্বতারোহী। আয়োজক সংস্থা বলছে, এই সপ্তাহে যেন মৃত্যুমিছিল চলেছে পর্বতারোহীদের। তবুও মৃত্যুকে পরোয়া না করেই এগারো হাজার ডলার খরচ করে প্রতিবছর মানুষ এখানে আসেন একবার এভারেস্ট জয় করবেন বলে।