এনআইডি জালিয়াতিতে জড়িত সমাজসেবার ৩ কর্মী

88

বাঁশখালীতে অযোগ্যদের ভাতা পাইয়ে দিতে ভোটার এনআইডি কার্ড জালিয়াতির সাথে জড়িত সমাজসেবার তিন কর্মচারী। গতকাল উপজেলা সদরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনাকালে এমন তথ্য পেয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আতিকুর রহমান। অভিযানকালে চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাঁচটি কম্পিউটার জব্দ করা হয়।
অভিযানকালে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফয়সল আলম, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সুফিয়ানসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আতিকুর রহমান বলেন, এলাহী কম্পিউটারে অভিযানকালে অপারেটর আমাদের তথ্য দেন সমাজসেবার তিন কর্মচারী তাকে ভোটার এনআইডি পরিবর্তনে বাধ্য করেছে। সে এ কাজ না করতে চাইলেও কেউ জানবে না মর্মে এ কাজে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। সমাজসেবার এই তিন কর্মচারী হলেন ইউনিয়ন সমাজকর্মী দেলোয়ার হোসেন, নিলকি প্রভা দত্ত, কারিগরী প্রশিক্ষক জ্যোতি ধর।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল উপজেলা সদরের কয়েকটি দোকানে ভোটার এনআইডি কম্পিউটারের মাধ্যমে জালিয়াতি করা হয়। আমরা সাতটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চারটি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এসব প্রতিষ্ঠানের অপারেটররা এনআইডি, খতিয়ান, পাবলিক পরীক্ষার সনদপত্র, জন্ম নিবন্ধন কার্ড জালিয়াতি করতো। যে কারণে আমরা পাঁচটি কম্পিউটার জব্দ করেছি।
জানা যায়, সম্প্রতি পৌরসদরে ১০৯ জনের নাম বয়স্ক ভাতায় লিপিবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রস্তাব নিয়ে এসব নাম তালিকায় লিপিবদ্ধ করা হয়। কিন্তু কমিটি যাচাই-বাছাই কমিটির আহবায়ক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তারের কাছে ১০৯ জনের মধ্যে ৩৯ জনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক থাকার অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এরমধ্যে ২৫ জনই নিজেদের ভোটার এনআইডি জালিয়াতি করেছিল।
এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয় দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেন। উপজেলা প্রশাসনের তদন্ত টিম সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী, কাউন্সিলর, চৌকিদার, সমাজসেবা কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আজ সমাজসেবার তদন্ত টিমও সেখানে যাওয়ার কথা।