এক বছরের মধ্যেই বলিভিয়ায় ফেরার পরিকল্পনা মোরালেসের

25

আর্জেন্টিনায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা বলিভিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস আগামী বছরের বড়দিনের আগেই নিজ দেশে ফেরার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। মঙ্গলবার বুয়েন্স আয়ার্সে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলিভিয়ার পরবর্তী নির্বাচনে দলের প্রচারণার কৌশল এবং প্রার্থী ঠিক করতে কাজ করছেন বলেও জানিয়েছেন। রোববার আর্জেন্টিনার রাজধানীতেই মোরালেসের মুভমেন্ট ফর সোশালিজম (এমএএস) জোটের সদস্যরা একত্রিত হয়ে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করবেন। এর মধ্যেই লাতিন আমেরিকার ৬০ বছর বয়সী এ সোশালিস্ট আইকনকে তার দেশে ফেরার পরিকল্পনা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়।
আগামী বছর এ সময়ের মধ্যে বলিভিয়ায় ফিরতে পারবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে আদিবাসী এ রাজনীতিক বলেন, “অবশ্যই, আমি ফিরবোই।” “নিরাপত্তাজনিত কারণে আমি বলিভিয়ায় ফেরার পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারছি না। কিন্তু প্রত্যেকেরই অবশ্যই নিজের দেশে ফিরতে হয়,” বলেন টানা তিন মেয়াদে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট থাকা মোরালেস। চলতি বছর অক্টোবরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও বিরোধী প্রার্থীকে ব্যাপক ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন তিনি। বিরোধীদের পাশাপাশি অরগানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটসে (ওএএস) পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুললে লাতিনের দেশটিতে অস্থিরতা শুরু হয়। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সেনাবাহিনী মোরালেসকে ক্ষমতা ছাড়তে বললে আদিবাসী এ প্রেসিডেন্ট পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে মেক্সিকো চলে যান। রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে পরে পাড়ি জমান আর্জেন্টিনায়।
মোরালেস জানান, তিনি কোনো অন্যায় করেননি। অভ্যুত্থান সম্বন্ধে আগাম কোনো তথ্য না পাওয়াই তার জন্য কাল হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন এ বামপন্থি নেতা। “না বলিভিয়ার পুলিশ, না সশস্ত্র বাহিনী, কারও গোয়েন্দা সূত্রই অভ্যুত্থান বিষয়ে আমাকে আগে থেকে সতর্ক করেনি,” বলেছেন মোরালেস। বলিভিয়ার আইনপ্রণয়নকারীরা এরই মধ্যে নতুন একটি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছেন; আগামী সপ্তাহের মধ্যে ওই ট্রাইব্যুনাল থেকে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার কথা।