উদ্বোধন করবেন দুটি মেগা প্রকল্পের কাজ

126

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল রবিবার চট্টগ্রাম আসছেন। তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর এটা চট্টগামে তার প্রথম সফর। তিনি এদিন চট্টগ্রামে দু’টি মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেলের (কর্ণফুলী টানেল) মূল খনন কাজ এবং লালখানবাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের উদ্বোধন করবেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ কর্তৃপক্ষের আয়োজনে সুধী সমাবেশের মঞ্চ তৈরির কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। মঞ্চটি তৈরি করা হচ্ছে ৪৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৮ ফুট প্রস্থের নৌকা আকৃতির। পুরো এলাকায় সুধী সমাবেশের ভাষণ শোনানোর জন্য বসানো হবে সাউন্ড বক্স ও প্রজেক্টর।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রথম চট্টগ্রামে আসায় দলীয় নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছেন। এ সমাবেশে দলীয় শীর্ষ নেতা ছাড়াও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
জানা গেছে, কর্ণফুলী টানেলের খননকাজ উদ্বোধন করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উপমহাদেশের প্রথম টানেল নির্মাণ প্রকল্পের বোরিং কার্যক্রম, লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলার পাইলিং প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে সুধী সমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, কম্পিউটারের সাহায্যে বোরিং কার্যক্রম উদ্বোধন এবং টানেল গেটের কাছে বোরিং পয়েন্টে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে ৩ হাজার ৫ মিটার দীর্ঘ টানেল। টানেলটি নেভাল একাডেমি পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে কাফকো ও সিইউএফএল পয়েন্টের মাঝখান দিয়ে অপর প্রান্তে যাবে। নদীর তলদেশে সর্বনিম্ন ৩৬ ফুট থেকে সর্বোচ্চ ১০৮ ফুট গভীরে স্থাপন করা হবে দুটি টিউব। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, নদীর তলদেশের সর্বনিম্ন ৩৬ ফুট (১২ মিটার) থেকে সর্বোচ্চ ১০৮ ফুট (৩৬ মিটার) গভীরে স্থাপন করা হবে দুটি টিউব। একেকটি টিউবের চওড়া হবে ১০ দশমিক ৮ মিটার (৩৫ দশমিক ৪৩ ফুট) এবং উচ্চতা হবে ৪ দশমিক ৮ মিটার। একটি টিউবে দুটি স্কেল বসানো থাকবে, সেই স্কেল দিয়ে দুই লেনে গাড়ি চলাচল করবে। একই রকমভাবে আরো একটি টিউব থাকবে পাশে। আর দুটি টিউবের মধ্যে কমপক্ষে ১১ মিটার জায়গা খালি থাকবে।
একই সাথে লালখান বাজার থেকে শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি পাস হয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) নগরের বৃহত্তম এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।