হেফাজতে ইসলামের আমির ও বিশিষ্ট আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফির ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, আল্লামা শফি দেশ-বিদেশে ইসলামের প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
তার মৃত্যুতে দেশ একজন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদকে হারালো।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মরহুম আল্লামা শফির রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পৃথক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আল্লামা শফি ইসলামি শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। পাশাপাশি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নেও ভূমিকা রেখেছেন।
গতকাল শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরহুম আল্লামা শফির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন আল্লামা শফি। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিকালে তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেওয়া হয়। এর আগে, ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে গত বৃহস্পতিবার হাটহাজারী দারুল উলুম মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। পরে তাকে মজলিসে শূরা সদরে মুহতামিম পদ দেওয়া হয়। বুধবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া ছাত্রদের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠকে মাদ্রাসার মজলিশে শূরা কমিটির এ সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া তার পুত্র আনাস মাদানীকেও মাদ্রাসা থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয় ওই বৈঠকে।
