ইশতেহারের মতে এই বাজেট অসম্পূর্ণ

21

অর্থমন্ত্রী নিঃসন্দেহে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবতার নিরিখে করার চেষ্টা করছেন। তবে এতে সামগ্রিকভাবে বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়নি। উনি প্রত্যাশা উচ্চাকাক্সক্ষার কথা বলেছেন, সেটা পরিপূরণের জন্য যে সুনির্দিষ্ট প্রকল্প-প্রস্তাবনা থাকে, বিশেষ করে নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে, তা অসম্পূর্ণ থেকে গেছে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে সিপিডি কার্যালয়ে বাজেট পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।-খবর বাংলা ট্রিবিউনেরড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, নির্বাচনি ইশতেহারে কতকগুলো সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি ছিল। আমাদের ধারণা ছিল সেই প্রতিশ্রæতিগুলোকে উল্লেখ করে, সেগুলোর জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হলো, সেরকম একটা ব্যবস্থা আমরা লক্ষ করবো। দুঃখজনকভাবে আমরা এই মুহূর্তে তা পেলাম না। যেসব পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে, যেমন তিন কোটি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে ২০৩০ সালের মধ্যে। কিন্তু এটা কোন খাতে, কীভাবে সৃষ্টি হবে এবং এটা ব্যক্তি খাতে হবে, না সরকারি খাতে হবে, এটা কি গ্রামে হবে, নাকি শহরে হবে এ ধরনের কোনও মূল্যায়নভিত্তিক বা কোনও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনাভিত্তিক কৌশলপত্র আমরা সেভাবে লক্ষ করিনি।
তিনি আরও বলেন, যেসব প্রতিশ্রুতি আছে, সেগুলো অনেক ক্ষেত্রে কোন সময়ের ভেতরে বাস্তবায়ন হবে, তা বলা নেই। যেমন ব্যাংক খাতে কমিশনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আলাপ-আলোচনা করে করা হবে’। আমার কাছে এক কথায় মন্ত্রী নিঃসন্দেহে বাস্তবতার নিরিখে বাজেট করার চেষ্টা করেছেন, তবে সামগ্রিকভাবে বাস্তবতা তাতে প্রতিফলিত হয়নি। উনি প্রত্যাশা ও উচ্চাকাক্সক্ষার কথা বলেছেন, সেটা পরিপূরণ করার জন্য যে সুনির্দিষ্ট প্রকল্প-প্রস্তাবনা থাকে, বিশেষ করে নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে, সেটা কিন্তু অসম্পূর্ণ থেকে গেছে।
এ সময় তিনি বাজেটের ওপর সম্পূর্ণ প্রতিক্রিয়া শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে জানানো হবে বলে জানান।