আরও ২২ পণ্য তুলে নিতে বিএসটিআই’র নির্দেশ

64

খোলাবাজার থেকে সংগ্রহ করা ৪০৬টি পণ্যের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় অবশিষ্ট ৯৩টি পণ্যের মান পরীক্ষা করে ২২টি ব্র্যান্ডের পণ্যকে ‘নিম্ন মানের’ বলে ঘোষণা করেছে জাতীয় মান নির্ধারণকারী সংস্থা বিএসটিআই। এসব পণ্য আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বাজার থেকে তুলে নিতে কোম্পানিগুলোকে গতকাল গতকাল মঙ্গলবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে হাসেম ফুডসের কুলসন ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই এবং এস এ সল্টের মুসকান ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ, প্রাণ ডেইরির প্রাণ প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের ঘি, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের রাঁধুনী ব্র্যান্ডের ধনিয়া গুঁড়া ও জিরার গুঁড়া, চট্টগ্রামের যমুনা কেমিক্যাল ওয়ার্কসের এ-৭ ব্র্যান্ডের ঘি, চট্টগ্রামের কুইন কাউ ফুড প্রোডাক্টসের গ্রিন মাউন্টেন ব্র্যান্ডের বাঁটার অয়েল, চট্টগ্রামের কনফিডেন্স সল্টের কনফিডেন্স ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ, ঝালকাঠির জে কে ফুড প্রোডাক্টের মদিনা ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই, চাঁদপুরের বিসমিল্লাহ সল্ট ফ্যাক্টরির উট ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ এবং চাঁদপুরের জনতা সল্ট মিলসের নজরুল ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ। এসব পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত করেছে বিএসটিআই।
তবে থ্রি স্টার ফ্লাওয়ার মিলের থ্রি স্টার ব্র্যান্ডের হলুদের গুঁড়া এবং এগ্রো অর্গানিকের খুশবু ব্র্যান্ডের ঘি নিম্নমানের হওয়ায় কোম্পানি দু’টির লাইসেন্স বাতিল করেছে বিএসটিআই। আরও ৮টি প্রতিষ্ঠান বিএসটিআইয়ের কোনো লাইসেন্স ছাড়াই পণ্য বাজারজাত করছিল। তাদের নাম প্রকাশ না করে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসটিআই। খবর বিডিনিউজের
বিএসটিআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পণ্যগুলোর মানোন্নয়ন করে পুনঃঅনুমোদন ব্যতিরেকে সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের পণ্য বিক্রি-বিতরণ ও বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচার হতে বিরত থাকার জন্য এবং সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারীগণকে বিক্রিত মালামাল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ প্রদান করা হলো’।
যেসব পণ্য এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েছে, তার কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত রোজাকে সামনে রেখে বাজার থেকে ৪০৬টি পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে তার মান পরীক্ষা করে বিএসটিআই। গত ১ মে প্রথম ধাপে ৩১৩টি পণ্যের মান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে তারা। সেখানে ৫২টি ব্র্যান্ডের পণ্যকে নিম্নমানের বলে ঘোষণা করা হয়। তবে পরে কয়েকটি পণ্য মানের পরীক্ষায় উত্তর্ঢু হলে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় বিএসটিআই। এরপর দ্বিতীয় ধাপে বাকি ৯৩টি পণ্যের মান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হলো।