আমিতো স্বপ্ন দেখি না

164

হাত ছুঁয়ে এসেছিলো… গোলাপ রজনীগন্ধা
তারপর… রাতের মতো
নিশ্চুপ মানুষের ঠোঁট জোড়া।
কেউ কেউ বলে শুভ্র হয়েছিলে ফজরে
মুয়াজ্জিন কণ্ঠে
দোয়েল যেভাবে ডাকে… মধুর আহŸানে।
আমিতো স্বপ্ন দেখি না… দেখিনি কস্মিনকালে
শুধু রাত জাগি…
তারাদের মতো ঘুমন্ত আকাশে।

ফিরে আসা
রেবেকা ইসলাম

অতঃপর স্বপ্নগুলোকে উড়িয়ে দিই,
ফিরে আসি উদভ্রান্তের মতো,
আমাকে অতিক্রম করে পাতাঝরা পথ
আঁচলের গেরোতে তখন অভিমানী দুপুর,
ফিরে আসি চৌকাঠের আকর্ষণে
খসে পড়া পলেস্তারার মায়ায়,
এ ঘরে দুপুর আসতেই রাত হয়ে যায়
অন্ধকার গ্রাস করে একহারা দেয়ালকে,
ঝাঁপসা দিনকে পড়তে পড়তে
ক্লান্ত হয়ে য়ায় চক্ষুযুগল,
হয়ত আবার আসবে স্বচ্ছ সুন্দর একটি দিন,
জ্বলজ্বল করবে বিকেলের নাকফুল,
সন্ধ্যার পিছু পিছু হেঁটে
দিনশেষে আমিও ডুবে যাব সূর্যের সাথে
তারপর ফিরে আসব
ধ‚মায়িত দ্রোহের কোন সকালে।

কামনার সাতকাহন
অভি ওসমান

একটু সবুর কর,
ওদেরকে ওদের আদিম সুখটুকু নিতে দাও।
ঐ দেখ! কেমন পেখম মেলেছে সে ;
সঙ্গিনিও দারুণ মেজাজে আছে।
এটাই হোক তাদের অন্তিম মিলন!

শুধু একরত্তি সুখ নিক
ঠিক প্রজাপতির মতো!
তোমরা তো লোটেপুটে খাবে
ওর উদর, রান, কটিদেশ আর
বাদ যাবে না হয়তো তার বক্কযুগলও!

ওকে দেখে হয়তো তোমার
দারুণ ক্ষুধা জেগে ওঠেছে,
জিবে লালা টলমল করছে,
হয়তো অপেক্ষার প্রহর গুণছে তোমার ভাষা।
ওকে ভক্ষণে তোমাদের নিশিসুখ
হয়তো বেড়ে যাবে দ্বিগুণ,
পূর্ণতা পাবে কামনার সাতকাহন।

ঐ দেখ! ওরা কামনায় লিপ্ত
চোখ দুটো বন্ধ রাখ।
মিলন শেষে
ওকে চেপে ধরে নিয়ে যাও।
গোগ্রাসে ভক্ষণ করো ওর রক্তমাংস হাড়
আর উপভোগ কর
নিশিকামনার প্রতিটি রত্তি।