আমাদের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ও রাজনৈতিক দৈন্যতা

121

অর্থনৈতিক অগ্রগতির বৃহত্তম পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ পথ উন্নয়নের পথ। খুব দ্রæততম সময়ে এদেশের দারিদ্র্যতাকে পেছনে ফেলে বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপনে সক্ষম হয়েছে। ২০০৫-২০০৬ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র্যতার হার ছিলো ৪১.৫০%। ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্টে দারিদ্র্যতার হার ২২.৪০%। হতদারিদ্র্র্যতা ২৪.৩% থেকে নেমে এখন ১২% এ এসেছে।
অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকে বিশ্বের ৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। ২০০৮ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিলো ৫.৫% ২০১৮ সালে তা নড়েচড়ে ৭.১% সেই নিরিখে বিশ্বে বাংলাদেশের স্থান ৪৪তম। অর্থাৎ বিশ্বের ১৯৭টি দেশের মধ্যে ৪৪তম স্থান করে নেওয়া মানে বিরাট অর্জন। এ ধারা যদি অব্যাহত থাকে তবে ২০৩০ সালে বিশ্বের মধ্যে ২৯তম এবং ২০৫০ সাল নাগাদ ২৩তম স্থানে উঠে আসবে বলে ধারণা করা যেতে পারে। এক সময় বাংলাদেশ ঋণ ও সাহায্য নির্ভর দেশ ছিলো। বিগত দশ বছরে অবিশ্বাস্য অগ্রগতির ফলে ঋণ নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে নির্দ্বিধায় একথা বলা যায়। যার কারণে বিদেশের ব্যবস্থাপত্র অগ্রাহ্য করে টাকার অবমূল্যায়ন না করে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছি বলা যায়। ২০০৮ এ মূল্যস্ফীতি ছিলো ৮.৯% সরকারি ঋণ (জিডিপির তুলনায়) ৪০.৬% পক্ষান্তরে ২০১৭ সালে মূল্যস্ফীতি হ্রাস হয়ে ৫.৭% এবং সরকারি ঋণ (জিডিপির তুলনায়) ৩২.৪০%, ২০১৮ তে মূল্যস্ফীতি ৫.৫১% এবং সরকারি ঋণ (জিডিপির তুলনায়) ৩১.৯% খাদ্য বহিভর্‚ত মূল্যস্ফীতি ৫.০৩% থেকে নেমে ৪.৫০% দক্ষিণ এশিয়ার নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়ে গেছে। ২০০৫-২০০৬ সালে মাথাপিছু আয় ৫৪৩ ডলার যা এখন ১৭৫১ ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিলো ১০.৫২ বিলিয়ন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৪.৮০ বিলিয়ন ডলার। ২০০৫-২০০৬ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিলো মাত্র ৩.৫ বিলিয়ন ডলার ২০১৮ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ জুন’১৮ পর্যন্ত ৩৩ বিলিয়ন ডলার। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশ বছরে ৪৪১%। ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে বৈদেশিক রেমিট্যান্স ছিলো ৮.৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১২.৭৬ বিলিয়ন ডলার ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এটা বড় ধরনের সাফল্য।
অর্থবছর ২০০৭-২০০৮ মোট আমদানি ২৫.২০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির হয় ১৪.১১ বিলিয়ন ডলার। দুই খাতের পার্থক্য ১১.০৯ বিলিয়ন ডলার। ২০০৮-০৯ এ আমদানি ২২.০০ বিলিয়ন ডলার এর বিপরীতে রপ্তানি আয় ১৫.৫৬ বিলিয়ন ডলার= উভয় খাতের পার্থক্য ৬.৪৪ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫-১৬ তে আমদানি ৪০.০৮ বিলিয়ন ডলার এর বিপরীতে রপ্তানি হয় ৩৪.৯৭ পার্থক্য ৫.১১ বিলিয়ন ডলার। ২০১৬-১৭ তে আমদানি ব্যয় ৪৪.৮৩ রপ্তানি ৩৪.৮০ পার্থক্য ১০.০৩ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যদি রপ্তানি আয় আমদানি ব্যয়ের চাইতে বৃহত্তর হয় তবে অনুক‚ল বাণিজ্য আবার রপ্তানি আয় যদি আমদানি ব্যয়ের চাইতে ক্ষুদ্রতর হয় তবে তা হবে প্রতিক‚ল বাণিজ্য, যা কিনা ব্যালেন্স অব পেমেন্ট বৈদেশিক রিজার্ভের ক্ষয়প্রাপ্তির কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে। অতিমাত্রার রাজস্ব প্রাপ্তির জন্য আমদানিকে উৎসাহিত করেছে বলে মনে করা যায়। আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য যদি একটা সমতা আনয়ন করা যায় তা আমাদের জন্য অত্যন্ত মঙ্গলকর। এতে করে সিঁড়ি বেয়ে উন্নত দেশে পরিণত হতে আমাদের জন্য সহজতর হবে। খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ যথেষ্ট স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে। ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে যেখানে খাদ্য উৎপাদন ২৮.৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন সেখানে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪০ মিলিয়ন মেট্রিক টন উন্নীত হয়েছে কীটনাশক সাফল্যের পেছনে কাজ করেছে সুলভমূল্যে সার, সেচ ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং ন্যায্যমূল্যে খাদ্যশস্য বিপণনের সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি। উৎপাদিত উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য সংরক্ষণের জন্য সাবেক সরকারের আমলে ভেঙে নিশ্চিহ্ন করা স্থানে হালিশহরে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক খাদ্যগুদাম নির্মাণ যুগান্তকারী পদক্ষেপ ওখানে উদ্ধৃত্ত খাদ্য শস্যের ব্যাপারে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের সাফল্য প্রশংসনীয়। ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিলো ৪৯৪২ মেগাওয়াট বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ২০,০০০ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। নতুন আরো ৫৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি উৎপাদনে যায় উৎপাদন ক্ষমতা আরো ১৪১৩৪ মেগাওয়াট বৃদ্ধি পাবে প্রত্যাশা করা যায়। এরপর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে। তা যদি হয় বিদ্যুতে কোন ঘাটতি থাকবে না। দেশে যদি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ বিদ্যমান থাকে তবে শিল্পক্ষেত্রে উন্নয়ন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। এর সাথে রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সাক্ষরতা অর্জিত হয়েছে ৭১% বিনামূল্যে পুস্তক বিতরণ হয়েছে ৩৬ কোটি। ১৯টি জেলায় ৪০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। কর্মজীবী নারীর সংখ্যা ৩৬%, বেকারত্ব হ্রাস পেয়েছে ৪.২% কর্মজীবী মানুষের সংখ্যা ৫.৯৫ কোটি। মানবসম্পদ উন্নয়নসূচি ২০০৯ তে ছিলো ০.৫৩৫, ২০১৮ সালে ০.৬০৮ এ উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮। এ নির্বাচন একটি সকল দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এবারের নির্বাচন নিয়ে যতই সমালোচনা বিদ্যমান থাকুক না কেন সহিংসতায় আহত-নিহত হয়েছে কম। জননেত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয়বার ও চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী নিয়ে আগামী ৫ বছরের জন্য সরকার সাজিয়েছেন। চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে বিরাট বিরাট চ্যালেঞ্জও স্বীয় স্ক›েদ্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তিনি অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে যথেষ্ট পরিপক্বতায় পরিপুষ্ট। তবে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার হিসেবে দুর্বল বিরোধীদলের অবস্থানের জন্য সংসদ কতটুকু প্রাণবন্ত হবে সেটায় দেখবার বিষয়। মহাজোটের শরীকদের মধ্য থেকে এরশাদ সাহেব বিরোধী দলের নেতা এবং তাঁর সহোদর বিরোধী দলে উপনেতা হিসেবে স্থান পেয়েছেন। ৪৭ সদস্য মন্ত্রিসভায় ৩১ জনই নতুন মুখ। বাদ পড়েছেন আগের মন্ত্রিসভার ৩৪ জন। ৫ জন প্রতিমন্ত্রীর পদোন্নতি হয়ে পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন। ১৪ দলের দুঃসময়ের শরীকদের মন্ত্রিত্ব দেয়া হয়নি এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেন, জোট করেছি, জোটের অর্থ এই নয় যে, তাদেরকে মন্ত্রিত্ব দিতেই হবে। এবারের পছন্দের ব্যাপারটা প্রধানমন্ত্রীর। তা অভিজ্ঞ বয়োজ্যৈষ্ঠ অনেকে বাদ পড়েছেন মন্ত্রিত্বের তালিকা থেকে। নবীনদের অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকলেও থাকতে পারে তবে দক্ষতা অর্জনে কিছু সময়ক্ষেপণ হতে পারে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভোটের পর দলীয় টিম নিয়ে মন্ত্রিত্বের প্লাটফর্ম সাজিয়েছে। অর্থাৎ সাফল্য এবং ব্যর্থতা সবকিছুই স্বীয় দলের। প্রবীণদেরকে বঞ্চিত করাটা কতটুকু সঙ্গত হয়েছে তা তাঁরই জ্ঞাতব্য। বয়োবৃদ্ধ আবুল মাল সাহেব হাসিমিশ্রিত বাক্য প্রয়োগ করে বলেন, আমি মন্ত্রিত্ব না পাওয়ার ব্যাপারে দুঃখিত নই আমিতো আগেই বলেছি ২০১৮ এরপর আমি অবসরে যাবো। যাক, ওসব দলের নিজস্ব ব্যাপার। গত সোমবার ১৪.০১.১৯ সংবাদপত্রের মোক্কোম শিরোনাম হচ্ছে ড. কামাল সাহেবের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর সাড়া ‘ফের সংলাপের উদ্যোগ’। কামাল সাহেব বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহচর। বঙ্গবন্ধুর সাথে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পাকিস্তান থেকে ফিরেছিলেন। পাকিস্তানে তিনি কি মিয়ানওয়ালী কারাগারে জেল কেটেছিলেন নাকি স্ত্রী-কন্যা সমেত সিন্ধুতে সেই এডভোকেট ব্রোহীর বাড়িতে অর্থাৎ শ্বশুরালয়ে ছিলেন বঙ্গবন্ধু স্বীয় আসন ছেড়ে তাঁকে এমপি বানিয়েছিলেন। সংবিধান লিখতে দিয়েছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। ১৯৮১ সালে আজকের প্রধানমন্ত্রী তাকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী করেছিলেন। তখন তিনি সামরিক জান্তা বলে জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধু ও জেলহত্যার নৈপথ্য নায়ক হিসেবে চিহ্নিত করে বক্তব্য রেখেছিলেন। আওয়ামী লীগের বিপরীতে এবারের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি জামাত জোটের সঙ্গে জোট বেঁধেছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নিয়ে। তিনি বলেছিলেন বিএনপির সঙ্গে জামাত থাকলে আমি নাই। নির্বাচনে আগে সকাল থেকে ভোটকেন্দ্র পাহাড়া দিতে বলেন। নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট ২টি আসন পেয়েছিলো। এরপর কামাল সাহেব বলেন বিএনপির সঙ্গে জামাত আছে জানলে তিনি বিএনপির সঙ্গে থাকতেন না। তিনি সংলাপ চেয়েছেন সরকারের সাথে। শেখ হাসিনা তাঁর আহŸানে সাড়া দিলেন। হঠাৎ করে সেতুমন্ত্রী বললেন কিসের সংলাপ। নির্বাচনোত্তরে তাদের সঙ্গে সংলাপ নয় একটু খোশালাপ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করতে ডেকেছিলাম। এসব কিছু রাজনীতির তাল। রাজনীতির তাল বোঝা দুঃসাধ্য। বিভিন্ন এঙ্গেলে বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচন পূর্ব এবং নির্বাচনোত্তর বিষয়াধি নিয়ে নালিশ শালিশের ব্যাপারে দেনদরবার হলেও মজার বিষয় হচ্ছে ওসব জায়গা থেকে ধারাবাহিকভাবে শুভেচ্ছা আসতে শুরু করেছে। এর পশ্চাতে অনেক কিছু বিদ্যমান। ভারত বাংলাদেশের হাসিনা সরকারকে ৫০০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দিয়েছে। উন্নয়ন কর্মকাÐে অংশীদার আছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ত্রাণ সহায়তা কাজ করেছে। তলে তলে যতটুকু সম্ভব বাংলাদেশকে সমর্থন করেছে। ছিটমহল সমস্যা মিটমাট করে দিয়েছে সমুদ্র জলসীমার স্থায়ী সমাধান করে দিয়েছে। বিপরীতে বাংলাদেশ থেকেও যা পাবার পেয়ে আসছে। চীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগ করা ছাড়াও কর্ণফুলী নদীর মোহনায় ট্যানেল নির্মাণে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগে চুক্তিবদ্ধ। রাশিয়াতে আমরা পোশাক রপ্তানির ১৪ কোটি মানুষের বাজার পেয়েছি। রাশিয়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগ করে আসছে। মায়ানমার সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ হাসিনা সরকারের পক্ষে। সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা জোটে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি, এসব ব্যাপারগুলোকে মাথায় রেখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে ইতিবাচক মনে করে বাংলাদেশের জন্য। জঙ্গিবাদ দমনে যথেষ্ট সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে বাংলাদেশ। আমাদের অর্জিত সাফল্য ধরে রাখতে হলে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সরকারকে সমর্থনের বিকল্প নেই।
তবে আমাদের দুর্ভাগ্য এই যে রাজনীতি নামক বিষয়কে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে পারিনি। নেতা ও নেতৃত্ব সৃষ্টির ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। নেতৃত্ব সৃজনে প্রতিবন্ধকতা একমাত্র অন্তরায়। এতো বড়ো একটা নির্বাচন হয়ে গেলো যদি তা পারতাম দেশের পক্ষে জনগণের পক্ষে কথা বলার জন্য অভিভাবক হিসেবে সংসদকে প্রাণবন্ত করাটা সহজ হতো।

লেখক : অর্থনীতি বিশ্লেষক