আমরা রাজনীতি থেকে দূরে থাকি : বিপিন রাওয়াত

34

ভারতের সশস্ত্র বাহিনী রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন সে দেশের নতুন প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। ক’দিন আগে সেনাপ্রধান থাকাকালে নাগরিকত্ব আইনবিরোধী আন্দোলন নিয়ে করা তার মন্তব্যকে ‘রাজনৈতিক’ আখ্যা দেয় বিরোধীরা। বুধবার সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন সদ্য প্রতিরক্ষা প্রধানের দায়িত্ব নেওয়া বিপিন।ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে গত সপ্তাহে জেনারেল রাওয়াত রাজনীতিকদের সমালোচনা করেন। বলেন, ‘নেতৃত্বের কাজ হলো সব মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যখন আপনি এগিয়ে যাবেন সবাই আপনাকে অনুসরণ করবে। তবে প্রকৃত নেতা তারাই যারা মানুষকে সঠিক পথে এগিয়ে নেয়। তারা নয়, যারা মানুষকে ভুল পথে চালিত করে। যেমনটা আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে দেখলাম। আমাদের শহর ও শহরতলিতে বিপুল পরিমাণ বিক্ষোভ ও হিংসা ছড়াতে দেখলাম জনতাকে। এটা নেতৃত্ব নয়।’ তৎকালীন সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যকে রাজনৈতিক আখ্যা দেয় বিরোধীরা।
বিরোধী দলীয় নেতারা অভিযোগ তোলেন, বিপিন এখতিয়ার বহির্ভূত কথা বলছেন। তবে প্রতিরক্ষা প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর বুধবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা রাজনীতি থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখি। যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, তাদের নির্দেশনা মেনে কাজ করি।’ দায়িত্ব নেওয়ার আগেই বিপিনের বিরুদ্ধে নাগরিকত্ব আইনবিরোধী আন্দোলনে চড়াও হওয়ার অভিযোগ আনে বিরোধী দলগুলো। হায়দ্রাবাদের এমপি আসাউদ্দিন ওয়াইসি তখনকার সেনাপ্রধানের উদ্দেশে বলেন, ‘নেতৃত্ব মানে এটাও যে নিজেদের দফতরের এখতিয়ারের সীমারেখা নিয়ে আন্দাজ রাখা।’ কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা পি চিদামবারাম বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা কি করবেন তা বলা সেনাবাহিনীর কাজ না। যেমনটা আমরা বলি না যে আপনারা কিভাবে যুদ্ধ করবেন।’