আপনজনদের ধ্যান ধারণা ও কর্তব্যবোধের মধ্যেই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত

79

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেছেন, সমাজ বিজ্ঞানের ভাষায় সমাজকে আলোকিত করার জন্য মানব সভ্যতার ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধারণ করে যা কিছু ভালো এবং যা কিছু সুন্দর, সত্য ও শুভ তাকে আহরণ করতে হবে। ইছহাক মিয়ার মত মাটি ও মানুষের আপনজনদের কৃত ধ্যান ধারণা কর্তব্যবোধের মধ্যেই আমাদের বর্তমান বাস্তবতার দায়বদ্ধতাকে খুঁজে ফিরতে হবে। চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান এম.এ.আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, এম.এ হান্নান, মোজাফফর আহমেদ, আতাউর রহমান খান কায়সার, এম.এ মান্নান, এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, কাজী ইনামুল হক দানুর মত মানুষের প্রতি ও দলীয় নীতি আদর্শের প্রতি নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তিদের স্মৃতিসত্তা আমাদের সকলের জন্য এগিয়ে চলার পাথেয় হউক। তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু আমাদের মানসকিতার উন্নয়ন হচ্ছে না। তাই নারী নির্যাতন, ধর্ষণ এবং গুজব ছড়িয়ে দিয়ে মানুষকে হত্যার মত ঘটনা ঘটছে। তাই সমাজকে এ অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে নতুন প্রজন্মকে জ্ঞান, বিবেক, মানবিকতার চর্চায় তাদের গৃহ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত একটি শৃঙ্খলিত জীবনযাপনের বন্ধনে আবদ্ধ করতে হবে।
তিনি গতকাল বিকেলে নগরীর এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী সড়কস্থ ২৭নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ সিটি কমপ্লেক্স মিলনায়তনে মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া নাগরিক স্মরণসভা পরিষদ-চট্টগ্রাম এর স্মরণানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদেরকে সুন্দরভাবে বেঁচে বর্তে থাকার আগামী দিন গড়তে হবে। এ আগামীর কারিগররা যদি সঠিক পথে পরিচালিত না হয় আমরা অন্ধকারের অতল গহŸরে বিলীন হব। আমি আশাবাদী অন্ধকার থেকে আমরা আলোর পথে উত্তোরিত হব।
সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া নাগরিক স্মরণসভা পরিষদের সভাপতি ও ২৭নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল বলেন, ইছহাক মিয়া মাটি ও মানুষের নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে আমৃত্যু নিবেদিত ছিলেন। তার মধ্যে আমরা সত্যিকার রাজনীতি চর্চার বিষয়-আসয় খুঁজে পাই। তিনি বিষয় সম্পত্তিতে বিত্তবান থাকলেও দায়বদ্ধতার কাছে এই বিত্ত বৈভবকে আরো বড় করতে দেন নি। জীবন সায়াহ্নে এসে আমাদের একটি শিক্ষা-ই দিয়ে গেছেন। মানুষের জন্য দরদী হও। তাহলেই আমাদের অস্তিত্বের শিকড় গভীরে পথিত হবে।
স্বাগত বক্তব্যে আয়োজক পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী সাংষ্কৃতিক সংগঠক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, একজন সংস্কৃতি কর্মী হিসেবে আমাদের অনুষ্ঠান আয়োজনে তাঁকে কাছে পেয়েছি। বার্ধক্যের জড়তা তাকে কখনো শেকলবন্দি করেনি। ডিসি হিল সহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে যখনই আমন্ত্রণ জানিয়েছি তখনই তা তিনি গ্রহণ করেছেন। আজ মনে পড়ে এ মানুষটি আমাদের সংস্কৃতি জগতের খুব আপনজন ছিলেন। তার জীবন চরিত্র ধারণ করে আমরা একটি পরিশুদ্ধ সমাজ গঠন করতে প্রত্যয়ী।
নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাসান মুরাদ সেলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত নাগরিক স্মরণসভায় আরো বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া নাগরিক স্মরণসভা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আবুল বশর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও ঘাতকদালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম.এ. মান্নান শিমুল, দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা হাজী শাহ্ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, প্রয়াত ইসহাক মিয়ার সন্তান মোহাম্মদ রেজওয়ান, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর মোহাম্মদ এনামুল হক, নগর যুবলীগের সদস্য আবদুল হালিম, মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন জাহাঙ্গীর, নগর ছাত্রলীগ নেতা জালাল আহমেদ রানা, ২৭নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা আখতারুজ্জামান সুজন, মোহাম্মদ অভি, মোহাম্মদ রায়হান, মোহাম্মদ শোভন, সজিব শাহরিয়ার, তানভীর আহমেদ, নাজমুল নিরব, মোহাম্মদ আসিফ, মোহাম্মদ নুর হোসেন প্রমুখ। স্মরণসভার শুরুতে মোহাম্মদ ইসহাক মিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি