আত্মসমর্পণের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

49

নগরীর খুলশী থানায় বুধবার দুপুরে স্বেচ্ছায় এসে আত্মসমর্পণের পর দিবাগত রাত দু’টার দিকে জালালাবাদ পাহাড়ে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মোহাম্মদ বেলাল (৪৩) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
পুলিশের দাবি, তিনি তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে সহযোগীদের সাথে পুলিশের অন্তত দশ মিনিট ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। এরপর সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বেলালকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। নিহত বেলাল নগরীর আমবাগান রেলওয়ে লোকোশেড কলোনির আবদুল কাদেরের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মোহনপুর।
খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, থানায় এসে ধরা দেয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে বেলাল পুলিশকে তার কাছে থাকা অস্ত্রভান্ডারের তথ্য দেন। তার দেয়া তথ্যের সূত্র ধরেই রাতে পুলিশ তাকে নিয়ে জালালাবাদ পাহাড়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যায়। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা বেলালের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ১০ মিনিট ধরে উভয়পক্ষে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ চলে। পরে সহযোগীদের গুলিতে আহত হয়ে ঘটনাস্থলে বেলালকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ওসি জানান, ‘বন্দুকযুদ্ধের’ পর ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, চার রাউন্ড গুলি ও তিনটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। রেলওয়ের সরকারি জায়গা দখল, মারামারি ও খুনসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের ঘটনাায় এর আগে তার নাম এসেছে। তার বিরুদ্ধে খুন, চাঁদাবাজি, জায়গা দখলের অভিযোগে বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিহত বেলাল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বলে দাবি করতেন। পাহাড়তলীর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হিরণের অনুসারী হিসেবেই তাকে এলাকার অনেকে জানতেন।