আইন করে হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীদের সমর্থন ট্রাম্পের

37

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন যা হংকংয়ে চলমান চীনবিরোধী আন্দোলনে গণতন্ত্রীপন্থী বিক্ষোভকারীদেন সমর্থন দেবে। দ্য হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি নামের ওই আইনে বলা হয়, হংকংয়ের স্বায়ত্বশাসন কি বিশেষ মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য কি না তা খতিয়ে দেখবে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প বলেন, তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, চীন ও হংকংয়ের নাগরিকদের কথা ভেবে এই আইন করেছেন। আর হংকংয়ের দাবি, এই আইন বিশ্বের কাছে ভুল বার্তা দিবে এবং চলমান আন্দোলনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে না।এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে ‘হংকং হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসি অ্যাক্ট’ নামের একটি বিল কণ্ঠভোটে পাস হয়। চীনা কর্তৃপক্ষের দমনপীড়ন থেকে হংকং-এর গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের সুরক্ষায় এ বিল পাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে অঞ্চলটির মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়ে মার্কিন সমর্থনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়। সিনেটে পাস হওয়ার পর বিলটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে তোলা হয়। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের অনুমোদন নিয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে যায় বিলটি। তবে এ নিয়ে ওয়াশিংটনের ওপর ক্ষুব্ধ হয় বেইজিং।
গত জুনে আন্দোলনের শুরু দিক থেকেই এই বিল নিয়ে কথা হচ্ছিলো। সেখানে বলা হয়, হংকং চীনের অংশ কিন্তু সেখানে আলাদা আইন ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আছে। এই আইনে খতিয়ে দেখা হবে চীন হংকংয়ের নাগরিক স্বাধীনতা ও আইনে হস্তক্ষেপ করেছে কি না। এছাড়া আইনে হংকংকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কোনও নিষেধাজ্ঞার প্রভাব হংকংয়ে পড়বে না। হংকংয়ের বাসিন্দারা অসহিংস আন্দোলনের কারণে গ্রেফতার হলেও তাদের ভিসা সুবিধা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ইট ‘সম্পূর্ণ অশুভ উদ্দেশ্য’ নিয়ে করেছে। তারা এর জবাব দেবে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ‘এই বিলটি অপ্রয়োজনীয় ও ভিত্তিহীন। এতে করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই অঞ্চলের যোগাযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ এর আগে ট্রাম্প এই বিলে স্বাক্ষর করার ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি। হংকংয়ের পাশে আছেন দাবি করলেও তিনি সবসময়ই শি জিনপিংকে দারুণ ব্যক্তি বলে অভিহিত করেন।