অযান্ত্রিকের দৃশ্যশ্রুতি ‘আমিই নজরুল ইসলাম’

59

‘আমি চির বিদ্রোহী বীর, বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির উন্নত শির।’ বাঙালির শ্রেষ্ঠ অসির ঝনঝনা ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কে এই আমি। ‘আমি’ কি কবি কাজী নজরুল ইসলামের আপন অস্তিত্ব? অথবা কবি নজরুলের ভাষা দিয়েই হাজার বছরের বঞ্চিত নিপীড়িত মানুষ গেয়ে উঠেছিল শেকল ভাঙার গান? দৃশ্যশ্রুতি ‘আমিই নজরুল ইসলাম’ মঞ্চে এনে শুভ সূচনা করল বাচিক সংগঠন ‘অযান্ত্রিক।’ গত মঙ্গলবার নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রামের মূল মিলনায়তনে দর্শনির বিনিময়ে অযান্ত্রিকের দৃশ্যশ্রুতি ও একক শ্রুতি পরিবেশনায় দর্শকদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। ভিন্ন মাত্রার এ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের শেষ পর্যন্ত মিলনায়তন ছিল পরিপূর্ণ।
নাটকটিকে কবিতা, শ্রুতি ও গানের সমন্বয়ে ‘আমিই নজরুল ইসলাম’ নামে দৃশ্যশ্রুতি আঙ্গিকে উপস্থাপন করে অযান্ত্রিক। ভিন্ন মাত্রার এই প্রযোজনার গন্থনা ও নির্দেশনায় ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী ভান্ডারী আরিফ। এতে শ্রুতিশিল্পী হিসেবে অংশ নেন ভান্ডারী আরিফ, শুভাশীষ শুভ, লুবাবা ফেরদৌসী সায়কা, চৌধুরী স্বর্ণালী বড়ুয়া, অনিক অভ্র, অপর্ণা রায় এবং শারহান সারোয়ার। আলোকসজ্জায় ছিলেন মঈন উদ্দিন কোহেল। আবহ নিয়ন্ত্রণ করেন সব্যসাচী আচার্য। ৪০ মিনিটব্যাপী এ প্রযোজনা উৎসর্গ করা হয় সদ্যপ্রয়াত বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী রণজিৎ রক্ষিত ও অকাল প্রয়াত দুই আবৃত্তিশিল্পী জোবায়ের জুয়েল ও ফাইরুজ আহমেদকে।
অযান্ত্রিকের নিজস্ব প্রযোজনার পরপরেই মঞ্চে আসেন আমন্ত্রিত অভিনয় শিল্পী ও আবৃত্তি শিল্পী মুবিদুর রহমান সুজাত। সহপাঠে ছিলেন পলি চৌধুরী ববি। সুজাতের অসাধারণ উপস্থাপনে একে একে তিনটি একক শ্রুতি উপস্থিত দর্শকবৃন্দ মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেন। অযান্ত্রিকের পক্ষে মুবিদুর রহমান সুজাতকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। খবর বিজ্ঞপ্তির