অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ বিএনপি নেতা খসরুকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

31

 

আমার ইন্টিগ্রিটি (সততা) নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, কেন ডাকা হয়েছে কি উদ্দেশ্যে ডাকা হয়েছে আপনারা (সাংবাদিকরা) বুঝে নিন। আমি সাধারণ জীবন যাপন করছি। আমার ইন্টিগ্রিটি নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ নেই।
এর আগে সকাল সোয়া ১০টা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে আমির খসরু তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলম এবং ভায়রা (স্ত্রীর বোনের স্বামী) গোলাম সরোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার তলব করে দুদক।
জানা গেছে, দুদক প্রধান কার্যালয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা কমিশনের উপ-পরিচালক সেলিনা আক্তার গত মঙ্গলবার তাদের তলবি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন।
২০০৮ সালের ১৬ আগস্ট অবৈধ লেনদেন, অর্থপাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমীর খসরুকে তলব করে নোটিশ দিয়েছিলেন দুদকের তৎকালীন পরিচালক কাজী শফিকুল। ওই নোটিশে একই বছরের ২৮ আগস্ট বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্যকে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। খবর বাংলানিউজের
আমীর খসরুর বিরুদ্ধে বেনামে পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনসহ বিভিন্ন দেশে অর্থপাচারের পাশাপাশি স্ত্রী, পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও নিজের নামে শেয়ার ক্রয়সহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়ার কথা ওই নোটিশে বলা হয়েছিল।
ওই তলবে আমীর খসরু উপস্থিত না হওয়ায় পরে একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর হাজির হতে আরেকটি নোটিশ পাঠিয়েছিল দুদক। কিন্তু তিনি নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এরপর ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে একটি চিঠি পাঠান তিনি। হাইকোর্টে এ রিট ‘বিচারাধীন’ জানিয়ে এর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ না নিতে সেখানে অনুরোধ করা হয়।
পরে একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ওই রিট আবেদন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য তোলা হলে তা সরাসরি খারিজ করে দেন আদালত। পরে ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট আমীর খসরু ও তার স্ত্রীকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে পৃথক নোটিশ দিয়েছিল দুদক। ওই নোটিশে অনুসন্ধানে আমীর খসরুর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বেশি নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের প্রমাণ মিলেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এর আগে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর আমির খসরু ও তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলমকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় দুদক।