লোহাগাড়ায় ১ মাসে ৪৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার ২৩ মামলায় কারাগারে ৪৮ জন

23

করোনা মহামারীতেও বসে নেই মাদক ব্যবসীয়ারা। নতুন নতুন কৌশলে মাদকের চালান পাচার করে যাচ্ছে তারা। পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে টেকনাফের নাফ নদী সীমান্ত পেরিয়ে সীমান্তরক্ষী ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশের নানা প্রান্তে ঢুকে পড়ছে এসব ইয়াবার চালান। বিভিন্ন কৌশলে খুচরা বিক্রেতাদের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে যাচ্ছে এসব ইয়াবা। কখনো গাড়িতে, কখনো নৌ-পথ আবার কখনো মানুষের পেটে করে পাচার করা হচ্ছে ইয়াবা। চলমান প্রাণঘাতী করোনা মহামারিও তাদের এই পাচারকাজ বন্ধ করতে পারেনি।
এদিকে, বাংলাদেশ পুলিশ করোনার বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মাদক উদ্ধার কার্যক্রমও অব্যাহত রেখেছে সমানতালে। এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া সার্কেলের আওতাধীন সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানা পুলিশ চলতি সনের গেল মে মাসে ৪৮ জন মাদক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এসব পাচারকারীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৪৭৬ পিস ইয়াবা ও ৩০ লিটার চোলাই মদ। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে ২৩টি।
লোহাগাড়া থানা পুলিশের ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, চলতি সনের মে মাসে লোহাগাড়া থানা পুলিশ ৪০জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। তাদের কাছ থেকে ৪৩ হাজার ৯শত পিস ইয়াবা ও ৩০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে চলমান করোনার সংকটময় মুহূর্তেও লোহাগাড়া থানা পুলিশ মাদক পাচাররোধে কাজ করে যাচ্ছে।
সাতকানিয়া থানা পুলিশের ওসি সফিউল কবীর জানান, চলতি সনের মে মাসে সাতকানিয়া থানা পুলিশ ৮জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫৭৬ পিস ইয়াবা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে ৪টি। করোনার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মাদকরোধেও সাতকানিয়া পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্যা বলেন, করোনা মহামারীতে পুলিশ নানামুখি সেবামূলক কাজ করছে। এই সেবামূলক কাজের পাশাপাশি নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কাজও পুরোদমে চলছে। এতে সকল পুলিশ সদস্যদের বেশি বেশি পরিশ্রম করতে হচ্ছে। পরিশ্রমের ফলে অবশ্যই সফলতাও মিলছে। চলতি সনের গত মে মাসে আমার সার্কেলের আওতাধীন সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানা পুলিশ ৪৪ হাজার ৪৭৬ পিস ইয়াবা ও ৩০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করেছে।
এ সংক্রান্তে ২৩ টি মামলায় ৪৮ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে, এর মধ্যে অধিকাংশ সাফল্য লোহাগাড়া থানা পুলিশের। চলতি জুন মাসেও অনুরুপভাবে মাদক প্রতিরোধে কাজ করতে দুই থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।