২৪ জানুয়ারি হত্যাকান্ডের বিচার আজ সময়ের দাবি

21

 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, চট্টগ্রামে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল। সেদিন নেতা-কর্মীরা প্রতিরক্ষা দেয়ায় তিনি রক্ষা পেয়েছিলেন। এরপর তাকে ২৪ বার হত্যার অপচেষ্টা হয়। বাংলার জনগণ ও জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী তা প্রতিহত করে।
মোশাররফ হোসেন গতকাল সকালে আদালত ভবনের সম্মুখে শহীদবেদী চত্বরে নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২৪ জানুয়ারি শহীদদের স্মরণে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম গণহত্যার নির্দেশদাতারা গণদুশমন। এ নারকীয় হত্যাযজ্ঞের মামলাটি আজও নিষ্পত্তি হয়নি। বিচারে দোষীদের যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়, এটা সময়ের দাবি।
তিনি বলেন, আমাদের সংকল্প আগামী ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. রেজাউল করিম চৌধুরীকে বিজয়ী করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, ২৪ জানুয়ারি গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়ায় যারা বাধা দিচ্ছেন, তাদেরও শনাক্ত করে বিচার করুন।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চসিক নির্বাচনে রেজাউল করিম চৌধুরীর বিজয়ের বিকল্প নেই।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে এবং ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনে চট্টলবাসীকে সাথে নিয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ২৪ জানুয়ারির গণহত্যা ছিল সুপরিকল্পিত। সেদিন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করে স্বৈরশাসন চিরস্থায়ী করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি।
নগর আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক এডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি আলহাজ নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট সুনীল কুমার সরকার,এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, দক্ষিণ জেলার প্রদীপ কুমার দাশ, নগর আওযামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, বাণিজ্য সম্পাদক মাহবুবুল হক মিয়া, শ্রম সম্পাদক আবদুল আহাদ, দক্ষিণ জেলার আবু জাফর, খোরশেদ আলম, নগর আওয়ামী লীগের আবুল মনসুর, বখতিয়ার উদ্দিন খান, মহব্বত আলী খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, থানা আওয়ামী লীগের হাজী ছিদ্দিক আলম, সাহাব উদ্দিন আহমেদ, আনছারুল হক, জানে আলম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি