১.৭ বিলিয়ন ডলার এসেছে ডিসেম্বরে

15

ঢাকা প্রতিনিধি

বছরের শেষ মাসে রেমিট্যান্স আশা জাগিয়ে গেলো। দেশে গত ডিসেম্বরে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি। গতকাল রোববার (১ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেটা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগের বছর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ১ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন অভিবাসী কর্মীরা।
গত বছরের সেপেটম্বরে রেমিট্যান্সে ছন্দ পতন হয়। পরপর দুই মাস এ ধারা অব্যাহত থাকে। নভেম্বর মাসে কিছুটা উন্নতি হয়। ডিসেম্বর মাসে আরও বাড়ে। এর ফলে রেমিট্যান্স নিয়ে যে হতাশা তৈরি করেছিল তার কিছুটা হলেও দূর হয়েছে। সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্সের ছন্দ পতন শুরু হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ সময়ে একদিকে ব্যাংক নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, দেশে-বিদেশে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পায়, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পায় এবং রেমিট্যান্সের ডলার কিনতে ব্যাংকগুলোকে দাম বেঁধে দেওয়া হয়। এর সবগুলো নেতিবাচক প্রভাব পড়ে রেমিট্যান্স প্রবাহে। রেমিট্যোন্সে হঠাৎ করে বড় ধরনের পতন হয়। যা ডলারের সংকটকে আরও ঘনীভূত করে তুলে।
তথ্যে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রথম দুই মাসে ভালো রেমিট্যান্স আসে। বছরের প্রথম মাস জুলাই আসে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ এবং আগস্টে আসে ২০৯ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। এরপর সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্স কমে ১৫২ কোটি ৬৯ ডলারে নামে। ডলারের এ ছন্দপতন অর্থনীতির অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে দেয়। সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্সের ছন্দ পতনের পরপরই নড়েচড়ে বসে সরকার। রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে বিভিন্ন রকম উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ সময় মানিট্রান্সফার ও ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসার ক্ষেত্রে ফি মওকুফের ঘোষণা দেওয়া হয়, নির্দিষ্ট পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাতে অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন না তোলা, মোবাইল ফাইনান্সিং ব্যবহার করে দ্রæত টাকা পাঠানো সুবিধার ঘোষণা এবং রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানোর কুফল প্রচার শুরু হয়। এর সুফল পাওয়া যায়। পরের মাস থেকে বাড়তে শুরু করে। ডিসেম্বর মাসে এসে একটি দৃশ্যমান ভালো অবস্থানে এসে দাঁড়ায়।