হাবিলাসদ্বীপে কম্বল বিতরণ নয়, মার্কেট দখলের চেষ্টায় সংঘর্ষ হয়

11

পটিয়া প্রতিনিধি

গত ৪ ফেব্রুয়ারি হাবিলাসদ্বীপের হুলাইন ছালে নুর কলেজ সম্মুখে কোন কম্বল বিতরণ কর্মসূচি ছিলো না। বরং কলেজের গেটস্থ খাস জমির উপর স্থাপিত একটি মার্কেট দখলের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই মার্কেটটির মালিক আহত নওশাদের পরিবার। তারা তাদের পৈত্রিক সূত্রে মার্কেটটি প্রাপ্ত হন জানিয়ে বলেন, ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে তা দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। সবশেষ ঘটনার দিন সকালে দখলের চেষ্টা ও তাতে ব্যর্থ হলে বিকালে পুনরায় হামলার ঘটনা ঘটে এবং তাতে বিএনপির লোকজন প্রতিপক্ষের সাথে যোগ দেয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে নওশাদের পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের সদস্যরা এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য, গত ৪ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের দুই গ্রুপে মারামারি ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়। আহতদের কয়েকজন এখনো চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ওই ঘটনায় তাদের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে হাবিলাসদ্বীপ গ্রামের মোহাম্মদ আরিফ, হাইদগাঁও গ্রামের সাইফুল ইসলাম সাইফু, চরকানাই গ্রামের মোহাম্মদ জুয়েল, মোহাম্মদ সোহেল, উত্তর হুলাইন গ্রামের মোহাম্মদ ইদ্রিস, সাইফুল ইসলাম, রবিন উদ্দিন, চরকানাই গ্রামের শাহজাহান ও মোহাম্মদ সোহেল। নওশাদের পরিবারের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নওশাদের বড় বোন শাহানারা বেগম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নওশাদের বোন জিন্নাত আরা বেগম, পাঁচুরিয়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম, হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাহমুদুল হক। বালু সাইফু ঘটনাস্থলে ছিলেন না, কিন্তু এরপরও তাকে কেন মামলায় আসামি করা হয়েছে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় বালু সাইফু ঘটনাস্থলেই ছিলেন। মামলায় কাউকে অহেতুক আসামি করা হয় নি। মার্কেটের সম্মুখে প্রায়শ অনুষ্ঠান হয়, কিন্তু কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলমের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান করতে দেয়া হয় নি কেন জানতে চাইলে জানানো হয় কম্বল বিতরণের কোন আয়োজন ছিলো না এবং বদিও সেখানে ছিলেন না। সেখানে তারা এসেছিল মার্কেট দখল করতে। তাতে ব্যর্থ হলে হামলা ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে বাধা দেয়ার নাটক সাজানো হয়েছে।