সৌদি আরবে একই দিনে সাতকানিয়ার দুই প্রবাসীর মৃত্যু এলাকায় শোকের ছায়া

71

কিছুদিন পরেই দেশে আসার কথা ছিল তার। দেশে এসে কি করবেন এমন পরিকল্পনার কথা বন্ধুদের সাথে আলোচনা করছিলেন। কিন্তু দেশে আসতে পারলেন না তিনি। দীঘদিনের কর্মস্থল সৌদি আরবের কিং ফাহাদ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের আফজল নগর ভূঁইয়া বাড়ির আনোয়ারুল হকের ছেলে মো. হারুনুর রশিদ (৪৮)। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা আনয়নে সৌদি আরবের বাণিজ্যিক শহর জেদ্দা’র মোহাম্মদ সাঈদ এলাকায় চাকুরী করতেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৬ টায় জেদ্দা কিং ফাহাদ হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এর আগের রাতে তিনি নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাসার অন্য বাসিন্দারা হাসপাতালে নিয়ে যান। হারুন রশিদের নিকটাত্মীয় মোহাম্মদ আলমগীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, হারুন দীর্ঘ ১ যুগেরও বেশি সময় ধরে সৌদিতে অবস্থান করছিলেন। তিনি সর্বশেষ গত বছরের ১৩ অক্টোবর দেশে ছুটি কাটিয়ে আবারো কর্মস্থলে ফিরে যান। অল্পকিছুদিনের মধ্যেই দেশে আসার কথা ছিল তার।
এদিকে একই দিন বাংলাদেশ সময় সকাল এগারটায় স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন একই উপজেলার কেওচিয়া ইউনিয়নের জনার কেওচিয়া গ্রামের মৃত অলি আহমদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক(৪৫)। আব্দুর রাজ্জাকের ভাগিনা সাহাব উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আব্দুর রাজ্জাক গত দুই বছর আগে দেশে ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থল জেদ্দার হালাকায় ফিরে গিয়েছিলেন। তারও অল্পকিছুদিনের মধ্যে দেশে আসার কথা। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে হালাকা এলাকায় অবস্থানরত আব্দুর রাজ্জাক তিন পুুত্র সন্তানের জনক।
তার লাশ দেশে আনার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানান সাহাব উদ্দীন। একই দিনে এ রেমিটেন্স যোদ্ধার মৃত্যুর খবর নিজ নিজ গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে দুই গ্রামেই শোকের ছায়া নেমে আসে। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। তাদের আহাজারিতে পাড়া-পড়শির মাঝেও কান্নার রোল পড়ে যায়। হারুনের লাশ দেশে আনা হবে কিনা জানতে চাইলে নিকটাত্মীয় আলমগীর বলেন, দেশে লাশ আনার মতো আর্থিক সঙ্গতি না থাকার কারনে দেশে আনা সম্ভব হবে না। তাই সেখানেই (সৌদি আরব) দাফন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।