সোশ্যাল মিডিয়ায় যতকথা

3

কোচিং সেন্টার নিয়ে কিছু কথা
আনিছুল মোস্তফা

একটা ভয়ংকর বিষয় শেয়ার করার জন্য লেখা। সবেমাত্র এসএসসি পরীক্ষা শেষ হল। এখনো রেজাল্ট হয় নি। চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজারসহ অন্যান্য এলাকায় বিভিন্ন সরকারী/বেসরকারি কলেজের টিচার মিলে কোচিং সেন্টার খুলেছেন, যারা একসাথে এইচএসসি এর সব বিষয় পড়ানোর জন্য শিক্ষার্থী ভর্তি করাচ্ছেন। ১ম বর্ষের জন্য প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১,২০,০০০/-(এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা) অগ্রীম নিয়ে ভর্তি করাচ্ছে। অগ্রীম নেওয়ার মূল কারণটা হল, এই কোচিং সেন্টারগুলোতে এক ব্যাচে প্রায় ১০০ জন পর্যন্ত শিক্ষার্থী পড়ে। টিচার লেকচার দিয়ে যায় কিন্তু শিক্ষার্থীরা সহজে বুঝতে পারে না। আবার শিক্ষার্থী না বুঝলে টিচার যে তাকে বুঝিয়ে দেবেন সেই সময়ও টিচারের থাকে না।
ফলে ৩-৪ মাস যাওয়ার পর শিক্ষার্থী আর কোচিং এ যায় না। বাধ্য হয়ে বাসায় টিচার রেখে বা নিজে মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিজেকে পড়া শেষ করতে হয়। একই কারণে শিক্ষার্থী যদি মাসিক ভিত্তিতে নেয় তাহলে ৩-৪ মাস পর আর শিক্ষার্থী থাকে না, ফলে ব্যবসায় ক্ষতি হয়।
আমি এ রকম অনেক এইচএসসি এর শিক্ষার্থী বাসায় গিয়ে পড়িয়েছি যারা অগ্রীম টাকা দিয়ে কোচিং এ ভর্তি হয়ে বুঝতে না পেরে পরে বাসায় কয়েক মাসের জন্য টিচার রেখেছেন। অথবা বিষয় ভিত্তিক যারা কোচিং করান বা আলাদা পড়ান উনাদের কাছে কয়েক মাসের জন্য পড়তে পারে।
আর যে টিচাররা কলেজে শিক্ষার্থীদের ভাল করে না পড়িয়ে নিজেরা কোচিং ব্যবসা শুরু করেছেন উনাদের বিষয়ে প্রশাসনের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী। আর শিক্ষার্থীরা বন্ধু/বান্ধবী ভর্তি হচ্ছে তাই আমাকেও ভর্তি হতে হবে বলে অভিভাবকদের বাধ্য করতেছ তারা না বুঝে ভুল করছে। সব সাবজেক্ট প্রাইভেট পড়তে হবে এর কোন প্রয়োজন নেই।
যেটি বুঝবে না তা বুঝার জন্য এক বা দু-মাস একজন টিচারের কাছে পড়বে। আর এখন ইউটিউবে ‘রবি ১০ মিনিট’স স্কুল’ সহ আরও অনেক গ্রæপ আছে যারা বিস্তারিত বুঝিয়ে দেয়। যদি সব সাবজেক্টের জন্য কোচিং এ যায়, তবে নিজের পড়ার সময় পাবে না। এভাবে করতে গিয়ে সময় চলে গেলে নিজের সর্বনাশ করবে। সচেতন করার উদ্দেশ্যে এই লেখাটি।