সুগন্ধা নদীতে লাফ দিয়ে প্রাণে বাঁচেন ইউএনও

46

পূর্বদেশ অনলাইন

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ ও তার স্ত্রী।

তার স্ত্রীর পা ভেঙে গেছে এবং তিনি হাতেও আঘাত পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

বর্তমানে তারা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
দম্পতি লঞ্চের ভিআইপি কেবিন নীলগিরির যাত্রী ছিলেন।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়ার সময় তার স্ত্রী উম্মুল ওয়ারার ডান পা ভেঙে গেছে। বর্তমানে তিনি ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইউএনও জানান, ঢাকা থেকে অফিশিয়াল কাজ সেরে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় লঞ্চে বরগুনার উদ্দেশে রওনা হন তিনি।

রাত ৩টার দিকে লঞ্চে অন্য যাত্রীদের চিৎকারে তার ঘুম ভাঙে। এ সময় লঞ্চটি সুগন্ধা নদীর মাঝখানে অবস্থান করছিল। অনেকেই নদীতে লাফিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন লঞ্চ থেকে তারাও লাফ দিলে তৃতীয় তলা থেকে দোতলায় পড়ে যান। তখন তার স্ত্রী উম্মুল ওয়ারার ডান পা ভেঙে যায় এবং হাতেও প্রচণ্ড আঘাত পান।
তিনি আরও বলেন, লঞ্চে থাকা বৃদ্ধ এবং শিশুরাই বেশি হতাহত হয়েছেন। এ ছাড়া লঞ্চে অনেক নারী ছিলেন, যারা নদীতে লাফিয়ে পড়েছেন।

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এম‌ভি অভিযান-১০ নামক ল‌ঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
দগ্ধ ও আহত হয়েছেন প্রায় দেড় শতাধিক।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন সংলগ্ন নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।