সিটি কর্পোরেশন বেতন বাড়ল অস্থায়ী কর্মকর্তা কর্মচারীদের

0
সিটি কর্পোরেশন বেতন বাড়ল অস্থায়ী কর্মকর্তা কর্মচারীদের

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে (চসিক) নিয়োজিত দৈনিক ভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের প্রণোদনা হিসেবে বেতন বাড়ছে। এতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের মূল বেতনের ৫ শতাংশ, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মূল বেতনের ১০ শতাংশ এবং ডোর-টু ডোর কর্মচারীরাও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর মতো একই হারে বেতন পাবেন। গতকাল চসিকের সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।
জানা গেছে, চসিকে ৬ হাজার ৩১০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী দৈনিক ও নির্ধারিত বেতনে কর্মরত আছেন। অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির ফলে প্রতিমাসে ৫৪ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত গুনতে হবে এবং বছরে ৬ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা ব্যয় বাড়লো চসিকের ।
চসিকের জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন দায়িত্ব গ্রহণ পরবর্তী প্রথম ধাপে ১৫ শতাংশ এবং এবার দ্বিতীয় ধাপে এই বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। গতকাল সকালে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
সভায় প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফয়েজুল্লাহ, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন-উর-রশিদ হাজারী, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেমসহ নগরীর সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন চসিক সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী।
সভায় বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, নগরে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার হোল্ডিং রয়েছে। এত হোল্ডিং থাকলেও এর বিপরীতে কাংক্সিক্ষত ট্যাক্স পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও নগর পরিসেবা সচল রাখতে হিমসিম খেতে হচ্ছে চসিককে। বর্তমানে ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৫টি কনজারভেন্সি ওয়ার্ড আর ১৬টি নন-কনজারভেন্সি ওয়ার্ড রয়েছে। কনজারভেন্সি ওয়ার্ড থেকে ১৭ শতাংশ এবং নন-কনজারভেন্সি ওয়ার্ড থেকে ১৪ শতাংশ হারে কর ও রেইট আদায় করা হয়। তবে নন- কনজারভেন্সি ওয়ার্ডেও কনজারভেন্সি ওয়ার্ডে সমভাবে সেবা প্রদান করে আসছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। তিনি হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান বিষয়ে নগরবাসীকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করার জন্য কাউন্সিলরদের প্রতি আহবান জানান।
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফয়েজুল্লাহ নগরীর পানির পাইপলাইন সংস্কার ও সংযোগ কাজে কাউন্সিলরদের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, পুরানো পাইপলাইন সংস্কার ও নতুন পাইপলাইন সংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এই প্রকল্পের আওতায় ৪১টি ওয়ার্ডের ৬৫০ কি.মি. পুরোনো পাইপলাইন সংস্কার ও প্রায় ৫০ হাজার নতুন পাইপলাইন সংযোগ দেয়া হবে। নভেম্বরের দিকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালনক সভায় ্উল্লেখ করেন। প্রকল্পটি জাইকার অর্থায়নে শুরু হবে। আগামী বছর মার্চে এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে বলে চট্টগ্রাম ওয়াসা আশা করছে।