সাত দিন পর ঘুরে দাঁড়াল সূচক

1

সাত দিনের দরপতনের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে শেয়ারের মূল্যসূচক। টানা পতনেপ্রায় সাড়ে তিনশ পয়েন্ট হারানোর পর গতকাল বৃহস্পতিবার দিন শেষে ঢাকায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজারের সূচকে ৫৫ পয়েন্ট বাপ্রায় দশমিক ৮ শতাংশ যোগ হয়েছে।
ধারাবাহিক পতনে মূল্য সংশোধন হওয়ার পর পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করে করছেন। এর মধ্যে মঙ্গলবার নিয়ন্ত্রিক সংস্থা বিএসইসির সঙ্গে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসসহ বাজার সংশ্লিষ্ট শীর্ষ প্রতিনিধিদের যে বৈঠক হয়, তার সুপ্রভাবও বাজারে পড়ে থাকতে পারে।
আগের দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরুর হলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মন্দা পরিস্থিতি ছিল। তবে শেষ এক ঘণ্টায় বেড়ে যায়। দিন শেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিন থেকে ৫৫ দশমিক ৬২ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়ে ৭ হাজার ৭৬ দশমিক ২৩ পয়েন্টে ঠেকে। এর আগে সাত কার্যদিবসে ৩৪৭ পয়েন্ট সূচক হারায় ডিএসই।
পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অর্থনীতির অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ‘শেয়ারের দাম অনেক কমে গিয়েছিল। বড় পতনে বেশি কিছু শেয়ারের দাম খুব সস্তা হয়ে গিয়েছিল। বিনিয়োগকারীরা সেগুলো কিনতে শুরু করায় পুঁজিবাজারে সূচক আবার বেড়ে গেছে’।
সূচক বাড়লেও গতকাল বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে লেনদেনের পরিমাণ আগের কার্যদিবসের চেয়ে কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন ৩৭১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বা ২২ দশমিক ১০ শতাংশ কমেছে।
ঢাকায় এদিন ১ হাজার ৩১০ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়, যা আগের কর্মদিবসে ছিল এক হাজার ৬৮২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএসইতে হাতবদল হওয়া ৪৮ শতাংশ কোম্পানির দাম কমেছে। এর বিপরীতে ৪১ শতাংশের দাম বেড়েছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকায় লেনদেনে হয়েছে ৩৭৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৩ টির এবং কমেছে ১৭৯টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির দর।
ঢাকার অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৩ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৫১৮ দশমিক ১৬ পয়েন্টে। খবর বিডিনিউজের