সবুজায়নে নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে দেয়া হবে ‘মেয়র এ্যাওয়ার্ড’

35

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রকৃতি ও মানবসভ্যতা একে অপরের পরিপূরক। প্রকৃতিকে রক্ষা করতে না পারলে প্রকৃতি আমাদের প্রতি প্রতিশোধ নিবে। তাই প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। নগরকে সবুজায়নের ধারায় ধরে রাখতে নগরবাসীকে আরো উদ্বুব্ধ করার জন্য ‘নান্দনিক চট্টগ্রাম মেয়র এ্যাওয়ার্ড’ ও সবুজ মেলার আয়োজন করা হবে। নগরবাসী যাতে নিজ নিজ আঙ্গিনায় বৃক্ষরোপণে এগিয়ে আসে সেই লক্ষ্যেই এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে আন্দরকিল্লাস্থ সিটি কর্পোরেশন ভবনের কেবি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে নান্দনিক চট্টগ্রাম মেয়র এ্যাওয়ার্ড প্রবর্তন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন-প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, নগর পরিকল্পনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তিলোত্তমার প্রতিষ্ঠাতা সাহেলা আবেদীন, তানভির শাহরিয়ার প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, এক সময় চট্টগ্রাম শহরের অনেক এলাকায় মিনি পার্ক ও উন্মুক্ত খেলার মাঠ ছিল। এই নগর যান্ত্রিক ও দালান কোঠায় পরিপূর্ণ হয়ে উন্মুক্ত জায়গা এখন বিলীন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা বিবেচনায় চসিক নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে খালি জায়গা খুঁজে বের করে সেখানে খেলার মাঠ, মিনি পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি কাউন্সিলরদের তাদের নিজ নিজ এলাকার জনসাধারণকে তাদের বাড়ির ছাদ ও আঙ্গিনায় বাগান করতে উদ্বুদ্ধ করার আহব্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনের পর মেয়র চসিক নগর পরিকল্পনা শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বাগান মালিদের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন। তাদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, নগরীর সড়কের দু’পাশ, মধ্যবর্তী স্থান, গোলচত্বর, চসিকের স্কুল, কলেজ, অফিসসহ সকল স্থাপনায় পরিকল্পিতভাবে সবুজায়ন করতে হবে। সবুজায়িত গাছগুলোর পরিচর্যা, পানি ছিটানোসহ আন্তরিকতার সাথে সার্বিক দেখভালে নির্দেশনা দেন এবং এই কাজে নিয়োজিতদের প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়ও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রশিক্ষিত জনবলই পারবে নগরীর হারানো সবুজের সৌন্দর্য্য ফিরে আনতে।