সন্দ্বীপে ২০ দিনে ৩৪ দোকানে চুরি

22

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি

সন্দ্বীপে গত ২০ দিনে ৩৪টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়।
জানা যায়, গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে মগধরা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আদর্শ মার্কেটে ১০টি ও জনতা মার্কেটে ৫টি দোকান চুরি হয়। পরদিন ২৮ ডিসেম্বর সারিকাইত ইউনিয়নের শিবেরহাটে চুরি হয় ৮টি দোকান। ১১ জানুয়ারি হারামিয়া ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজারে ৩টি ও হরিশপুর ইউনিয়নে চুরি হয় ১টি দোকান। ১৪ জানুয়ারি শিবেরহাটে আবারও চুরি হয় ৬টি দোকান। সর্বশেষ গত ১৭ জানুয়ারি রাতে স›দ্বীপের প্রাণকেন্দ্র সেনেরহাটে ঘটে চুরির ঘটনা।
সেনেরহাটে চুরি হওয়া মেসার্স সেলিম এন্ড সন্স এর স্বত্বাধিকারী এটিএম সেলিম বলেন, ‘আমার দোকান প্রধান সড়কে। রাতদিন এই সড়কে মানুষের আসা-যাওয়া থাকে। তারপরও চোরেরা দোকানের তালা ভেঙে লকার ভেঙে নগদ তিন লক্ষ টাকা নিয়ে গেছে।’
সারিকাইত ইউনিয়নের শিবেরহাটে ঘটেছে দুই দফায় ১৪টি চুরির ঘটনা। চুরি হওয়া দোকানের মালিকেরা জানায়, রাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি দোকানেই সামনের তালা ভেঙে প্রবেশ করেছে। নিয়ে গেছে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও মালামাল।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, শিবেরহাট সন্দ্বীপের বড় বাজারগুলোর অন্যতম হলেও নেই কোন নির্বাচিত বাজার কমিটি। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে দুজন ব্যক্তি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ দখল করে থাকলেও ব্যবসায়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরাপত্তা প্রদানে কার্যকর কোন ভূমিকা পালন করেননি। দ্বিতীয় দফায় চুরি হওয়ায় পুলিশ ও প্রশাসনের অবহেলাকেও দায়ী করেন তারা।
শিবেরহাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম বাবলু বলেন, ‘দোকানগুলোতে অনেক মালামাল ছিল। কিন্তু মালামাল কিছু চুরি হয়নি। ৪-৫শ টাকা চুরি হয়েছে। আমরা প্রশাসনকে সিসি টিভি ফুটেজ দিয়ে সহায়তা করেছি। ইউএনও, ওসির সাথে বৈঠক হয়েছে। ইউএনওর ভাষ্য অনুসারে, এটা চুরি না, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এসব ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। একটি অটোরিকশা ও হরিশপুর ইউনিয়নে চুরি হওয়া দোকানের ৬০ হাজার টাকার চোরাই মাল উদ্ধার করেছি। চুরির ঘটনা বন্ধে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি টহল পুলিশ বাড়ানো হয়েছে।’