সংস্কার হয়নি সড়ক জনদুর্ভোগ

37

বোয়ালখালীর কালুরঘাট-গোমদন্ডী-বেঙ্গুরা-সাকিরাপুল রেল লাইন সংলগ্ন সড়কটি সংস্কার হলেই বোয়ালখালী উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থায় আসবে আমূল পরিবর্তন। সময় বাঁচবে অনেকখানি। দ্রুত সময়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে নগরে। চাপ কমবে উপজেলার প্রধান সড়কে। সড়কটির বেঙ্গুরা থেকে গোমদন্ডী তুলাতল পর্যন্ত কার্পেটিং করা সড়ক থাকলেও মাত্র ৪ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের অভাবে সড়কটি কোনো কাজে আসছে না। সড়কটি সংস্কারের লক্ষ্যে এলজিইডি’র অর্থায়নে এ সড়কে কালভার্ট ও সেতু নির্মাণ করা হয়েছিলো। তবে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় কোনো কাজেই আসছে না কোটি টাকার সেতু। ভোগান্তিতে রয়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। জানা যায়, উপজেলার প্রধান সড়কের ওপর চাপ কমানোর জন্য রেলওয়ে লাইনের পাশে কালুরঘাট-গোমদন্ডী-বেঙ্গুরা-সাকিরাপুল সড়কটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে গোমদন্ডী-বেঙ্গুরা পর্যন্ত সড়কটি নির্মাণ করা হয়। এ সড়কটি সাথে কানুনগোপাড়া সড়কের গোমদন্ডী বুড়িপুকুর পাড় রেল লাইন থেকে দাশের দিঘী-শাকপুরা-বেঙ্গুরা মূল সড়কে যুক্ত রয়েছে। সড়কটি নির্মাণের ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাথে পৌর সদরের সাথে যোগাযোগ সহজ হয়ে যায়। গোমদন্ডী থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত সড়কটি নির্মাণের লক্ষ্যে এ সড়কের পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড এলাকায় রেলওয়ের ১৩নং রেল ব্রিজের দক্ষিণ পাশে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। বিগত ৮ বছর আগে এলজিইডি’র অর্থায়নে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সেতুটি নির্মাণ করেন। এ ছাড়া সড়কটি নির্মাণে একটি কালভার্ট ও মাটি ভরাট প্রায় সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু রেলওয়ের ১২নং কালভার্টের পাশে একটি কালভার্ট নির্মাণ ও সড়কটি ঝোঁপঝাড় পরিস্কার করা হলে জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী হয়ে যাবে এ সড়কটি। পূর্ণতা পাবে কালুরঘাট-গোমদন্ডী-বেঙ্গুরা-সাকিরাপুল সড়ক। ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরিফ উদ্দীন জুয়েল জানান, এ সড়কটি চালু হলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-আরাকান সড়ক, কানুনপোপাড়া সড়ক, শাকপুরা-বেঙ্গুরা সড়কের যাতায়াতকারী যাত্রীসাধারণের কষ্ট লাঘব হবে। মূল সড়কের ওপর যানবাহনের চাপ অনেকটাই কমে যাবে। অল্প সময়ে নগর যাতায়াত করা যাবে। বোয়ালখালী পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান জানান, এ সড়কটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর ৩ কোটি ২০ লাখ টাকার একটি প্রজেক্ট তৈরি করেছে। এ সড়ক সংস্কারের জন্য জাইকা থেকেও অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এছাড়া বোয়ালখালী পৌরসভা থেকেও একটি প্রজেক্ট স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হয়েছে।