শীতের সবজিতে বাজার ভর্তি

12

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজারে উঠছে নানা ধরনের শীতের সবজি। বাজার ভর্তি শীতের সবজি থাকলেও দাম চড়া। দেখা গেছে, নগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে শীতের সবজিতে ভরা। এসবের মধ্যে শিম, পেঁয়াজ পাতা, টমেটো, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুনসহ নানা রকমের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। তবে নতুন সবজি কিনতে বাড়তি দাম গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২০০ টাকা। আগামী মাস থেকে মাছ ধরা বন্ধের ঘোষণার আজুহাতে ইলিশের দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা। এদিকে পাম তেল ও চিনির দাম কমিয়ে সরকার মূল্য নির্ধারণ করলেও এর প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। আগের দামেই বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
জানা যায়, মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করার লক্ষ্যে আগামী ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ ধরা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এটিকে পুঁজি করে ইলিশের কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫০ থেকে ২শ টাকা। বড় সাইজের ইলিশ গত সপ্তাহে ১২শ টাকায় বিক্রি হলেও গতকাল ১৪শ টাকা। এছাড়া মাঝারি সাইজের ইলিশে ১৫০ টাকা বেড়ে ৮শ টাকা ও ছোট সাইজের ইলিশ ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে গত ২২ সেপ্টেম্বর পাম তেলের দাম লিটারপ্রতি ১২ টাকা আর চিনিতে কেজিপ্রতি ৬ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় সরকার। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন দর কার্যকরের সিদ্ধান্তও দেয়া হয়। নতুন দর অনুযায়ী, পামতেল লিটারপ্রতি ১৩৩ ও চিনি কেজিপ্রতি ৮৯ টাকায় বিক্রি করার কথা। অথচ খুচরা দোকানগুলোতে এখনও পাম তেল ১৪৫ টাকা এবং খোলা চিনি ৯০ ও প্যাকেটজাত চিনি ৯৫ টাকাতেই বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, তেলের দাম বাড়ার কারণে বেশিরভাগ মানুষ অল্প পরিমাণে তেল কিনছেন। তাই আমাদের আগের দরে কেনা তেলগুলোর বিক্রি শেষ হয়নি। আগের দামে কেনা তেল যদি নতুন দামে বিক্রি করতে যাই, তাহলে আমরাই লোকসান হবে।
তবে ক্রেতারা জানান, সরকার থেকে দাম বাড়ানোর ঘোষণা কানে এলেই ব্যবসায়ীরা সঙ্গে সঙ্গে পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি শুরু করে দেন। আর সরকার কোন পণ্যের দাম কমালে ব্যবসায়ীরা দাম কমাতে নানা অজুহাত দেখান, নানা গড়িমসি করেন। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া খুবই জরুরি।
এদিকে সবজির বাজারে প্রতিকেজি বেগুন ও দেশি শসা ৬০, পটল ৪০, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা ও বাঁধাকপি ৫০, টমেটো ১২০, গাঁজর ১৩০ টাকা, কাঁকরোল ৬০, লাউ আকারভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০, ছোট আকারের ফুলকপি ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তাছাড়া বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০, সোনালি মুরগি ৩২০ এবং দেশি মুরগি ৫শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৬৮০ ও খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান বলেন, আমরা তো প্রতিনিয়তই বাজার তদারকি করছি। পাশাপাশি ভোক্তার কাছ থেকে অভিযোগ পেলেই আমরা সেটা গুরুত্ব দিয়েই সমাধান করি। কেউ বাড়তি দরে তেল বিক্রি করছে কিনা সেটা আমরা অভিযান পরিচালনাকালে অবশ্যই খতিয়ে দেখব। আমরা অভিযান শেষ করে চলে গেলে অসাধু ব্যবসায়ীরা আবার আগের মত বাড়তি দাম নেয়ার পাঁয়তারা করেন। কাজেই ক্রেতাদের আরো বেশি সচেতন হতে হবে এবং আমাদের কাছে অভিযোগ জানালে আমরা সেটা অবশ্যই দেখবো।