শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে অবহেলার শিকার চট্টগ্রাম

8

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থনীতির মৌলিক কর্মকান্ড থেকে শুরু করে প্রশাসনিক অনেক কর্মকান্ড রাজধানী ঢাকার বাইরে স্থানান্তর করা যুক্তিসংগত ও জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ‘বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা ২০২২-২৩ প্রস্তুতি আলোচনা: চট্টগ্রামের অঞ্চলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থনীতি সমিতি চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি প্রফেসর ড. জ্যোতি প্রকাশ দত্তসহ অন্যান্যরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে একই মত দেন।
গতকাল শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় অধ্যাপক জ্যোতি প্রকাশ দত্ত বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও চট্টগ্রামে একটি সরকারি মাধ্যমিক স্কুল নির্মিত হয়নি। নির্মিত হয়নি একটি সরকারি হাসপাতালও। অথচ এখানে ফ্লাইওভার, টানেলসহ বিভিন্ন প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করছে সরকার।
তিনি আরও বলে উন্নয়ন কর্মকান্ডে টাকা খরচ করুক তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু সেসব উন্নয়ন প্রকল্প পরিকল্পিত হতে হবে।
অন্যদিকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে তেমন গুরুত্ব নেই। চট্টগ্রামে মানুষের জন্য কোন বিশেষায়িত হাসপাতাল নেই।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ বলেন, অর্থনীতির প্রাণ ভোমরা হচ্ছে চট্টগ্রাম। এখানে সবচেয়ে বেশি দরকার পরিকল্পিত ও গোছানো উন্নয়ন। চট্টগ্রামকে কথায় শুধু নয় সত্যিকার অর্থেই বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এখানকার ব্যবসা বাণিজ্যকে আলাদা গুরুত্ব দেয়ার কোন বিকল্প নেই বাজেটে।
তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে হলে কর্ণফুলী নদীকে বাঁচাতে হবে। বাঁচাতে হবে হালদাকে। দ্রুত বে-টার্মিনাল গড়ে তোলারও কোনো বিকল্প নেই। কর্ণফুলীর তীরের অবৈধ স্থাপনা টাকার জন্য আটকে আছে এটা খুবই দুঃখজনক।
আলোচনায় অংশ নিয়ে এক্সিম ব্যাংকের কর্মকর্তা এস এম জাকের হোসেন বলেন, উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে আমাদেরকে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে দুনীতির লাগামও টানতে হবে। অন্যান্যের মধ্যে সাংবাদিক ইফতেখার ফয়সাল। উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক সবুর শুভ, এসএম ইফতেখারুল ইসলাম ও ফরিদ উদ্দিন খোকন প্রমুখ।