লোহাগাড়ায় নিষিদ্ধ জর্দ্দা-খয়ের-গুল বিক্রি বন্ধে নোটিশ বিতরণ

142

লোহাগাড়ায় পান, সিগারেট ও মুদি দোকানে নিষিদ্ধ জর্দ্দা, খয়ের, গুল বিক্রি বন্ধ করতে নোটিশ বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে এসব পণ্য বিক্রেতাদের মাঝে নোটিশ প্রদান করেন উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ শের আলী। তিনি জানান, গত ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) সহদেব চন্দ্র সাহা স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে- স¤প্রতি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাজার হতে দেশে উৎপাদিত ও প্রস্তুতকৃত জর্দ্দা, খয়ের ও গুলের ২২টি নমুনা সংগ্রহপূর্বক এটোমিন এনার্জি ল্যাব, ঢাকায় পরীক্ষা করা হয়। ল্যাব রিপোর্ট অনুযায়ী এসব পণ্য তৈরিতে কেমিক্যাল ও রং ব্যবহার করা হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফার্ণিচারের বার্ণিশের উপকরণ দ্বারা খয়েরও তৈরি হচ্ছে।এছাড়া ল্যাব রিপোর্টে জর্দ্দা, খয়ের ও গুলের নমুনাতে হেভি মেটাল যথাক্রমে লেড, ক্যাডমিয়াম ও ক্রোমিয়ামের অস্তিত্ব উচ্চমাত্রায় লক্ষ্য করা গেছে। যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। জর্দ্দা, খয়ের ও গুল ভক্ষণ মাড়ি ও লিভার ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের কারণ।
নিষিদ্ধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো গিলা খয়ের, তীর মার্কা খয়ের, মালাই খয়ের, অন্তরা খয়ের, কালো পাথর বাল্ক খয়ের, সাদা বাল্ক খয়ের, ইগল গুল, মোস্তাফা গুল, শাহজাদা গুল, রতন জর্দ্দা, হাকিমপুরী জর্দ্দা, গুরুদেব জর্দ্দা, শাহজাদি জর্দ্দা (নির্মলের), মহিউদ্দিন জর্দ্দা, হামিকপুরী জর্দ্দা, ঢাকা জর্দ্দা, মকিমপুরী জর্দ্দা, শাহী হীরা জর্দ্দা, জায়রানী জর্দ্দা, শাহজাদী জর্দ্দা (আলম), বউ শাহজাদী জর্দ্দা ও চাঁদপুরী জর্দ্দা।
এসব প্রতিষ্ঠানের নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ ও ধ্বংসপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।