লামার দুর্গম সরইয়ে পুলিশ ক্যাম্পের জায়গা পরিদর্শন

15

লামা প্রতিনিধি

অবশেষে দাবি পূরণ হতে চলেছে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নবাসীর। দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নবাসী দুর্গম পাহাড়ি রেংয়েনপাড়া এলাকায় একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এ প্রেক্ষিতে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের স্থান নির্ধারণ ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ইতিমধ্যে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশসহ একটি টিম সরেজমিন জরিপ করেছেন। ওই এলাকায় ক্যাম্প স্থাপন করা হলে স্থানীয়রাসহ বাগান মালিক ও কর্মচারীরা নিরাপদে চলাচলের পাশাপাশি চাঁদাবাজি, হামলা ও অপহরণ থেকে রক্ষা পাবে। তাই দ্রæত প্রস্তুাবিত পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান স্থানীয়রা। অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের স্থান নির্ধারণ ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নেতৃত্বে সরেজমিন জরিপ করার সত্যতা নিশ্চিত করেন ক্যয়াজুপাড়া পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মো. দেলোয়ার হোসেন।
জানা যায়, সরই ইউনিয়নে ২০টির মত রাবার ও হর্টিকালচার বাগান রয়েছে। বর্তমানে এসব বাগান থেকে প্রতিমাসে কোটি কোটি টাকার রাবার ও ফল উৎপাদন হচ্ছে, কর্মরত আছে শত শত শ্রমিক। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে ওই এলাকাটিতে পাহাড়ি সন্ত্রাসী কর্তৃক চাঁদার দাবিতে বিভিন্ন সময় রাবার বাগানে হামলা ও বাগান ম্যানেজারসহ কর্মচারিরা অপহরণের শিকার হন। এছাড়া পাহাড়ি ভূমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বেশ কয়েকবার অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে। এ কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে ওই এলাকায় একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের জোর দাবি তুলেন স্থানীয়রা। এ প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাাখতে সেখানে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে জানান, বান্দরবান পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।
ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সরই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিস সহ এলাকাবাসী। তিনি বলেন, আতংকে জীবন যাপন করতে হয়েছে ওই এলাকার মানুষকে। পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হলে স্থানীয়রাসহ বাগান মালিক ও কর্মচারীরা স্বাভাবিকভাবে চলাচলের পাশাপাশি চাঁদাবাজী, হামলা ও অপহরণ থেকে রক্ষা পাবে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আলম ও হেডম্যান দুর্যধন ত্রিপুরা জানান, ইউনিয়ন সদর থেকে ওই এলাকাটির দূরত্ব পাহাড়ি পথ বেয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটারের বেশি। তাই কোন একটা অঘটন ঘটলে ইউনিয়ন সদর থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছার আগেই অপরাধীরা নিরাপদে সরে যেতে পারে। তাই ওই স্থানে বসবাসরত মানুষগুলোর নিরাপত্তায় একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হলে সন্ত্রাসীরা আর অঘটন ঘটাতে সাহস পাবেনা।