লবণ চাষে কম সুদের ঋণসীমা বাড়লো

9

 

সরকারের সুদ ভর্তুকির আওতায় লবণ চাষে ৪ শতাংশ সুদের ঋণসীমা বাড়িয়ে সাড়ে তিন গুণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে একরপ্রতি ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন চাষিরা। এতদিন প্রতি একরে সর্বোচ্চ ৪৪ হাজার টাকা ঋণের সুযোগ ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
উপকূল এলাকায় লবণ চাষে ২০১০ সাল থেকে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ হচ্ছে। এ সময়ে খরচ অনেক বাড়লেও ঋণসীমায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। দীর্ঘ সময় পর এসে সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে মজুরি ও জমি ভাড়া বাবদ ঋণসীমা। মজুরি বাবদ ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। জমির ভাড়া বাবদ ঋণসীমা ২১ হাজার টাকা থেকে করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। বাঁধ নির্মাণ ও অন্যান্য খরচে ৩ হাজার টাকা থেকে হয়েছে ১০ হাজার টাকা। পলিথিন কেনায় ১০ হাজার থেকে ১৭ হাজার টাকা এবং পানি উত্তোলন খরচে ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নিজ জমিতে লবণ চাষের ক্ষেত্রে মালিকানার দলিল এবং উৎপাদিত লবণের হাইপোথিকেশনের বিপরীতে ঋণ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে জমির ভাড়া প্রযোজ্য হবে না। বর্গাচাষির ক্ষেত্রে জমির মালিক বা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির প্রত্যয়নপত্র লাগবে।