রিজভী-ইশরাকের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

17

পূর্বদেশ ডেস্ক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ ৩ জনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। অন্যদিকে ঢাকার পল্টন থানার গাড়ি পোড়ানোর মামলায় বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের নামেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার আরেকটি আদালত।
গতকাল সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় রুহুল কবির রিজভীসহ ৩ জনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
পরোয়ানা জারি হওয়া অপর দুই আসামি হলেন- খন্দকার এনামুল হক ও কাজী রেজাউল হক।
এদিন মামলাটির চার্জগঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিনজন আদালতে হাজির ছিলেন। রিজভীসহ তিনজন হাজির না থাকায় আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে আগামী ২৯ মার্চ চার্জগঠন শুনানির দিন ধার্য করেন। খবর বাংলানিউজের
জানা যায়, ২০১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর কাকরাইলের বিজয় নগরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ২০০/২৫০ জন লাঠিসোটা নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের গাড়িচালক আয়নাল বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন পল্টন থানার উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন খান।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- জামায়াত নেতা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আজিজুল বারী হেলাল, সাইফুল ইসলাম নিরব, শফিউল বারী বাবু ও মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে বাবু। আসামিদের মধ্যে শফিউল বারী বাবু মারা গেছেন।
এদিকে ঢাকার পল্টন থানার গাড়ি পোড়ানোর মামলায় বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী।
গতকাল সোমবার এই পরোয়ানা জারি করেন। এ দিন ইশরাকের পক্ষে আইনজীবী সময় আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন নামঞ্জুর করে তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মতিঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শাহ আলম এ তথ্য জানান।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে এই মামলা করে পুলিশ। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে ঢাকা-১৮ আসনে উপনির্বাচনে অনিয়মের প্রতিবাদে মিছিল থেকে সোনালী ব্যাংকের একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করা হয়।
এরপর ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন ইশরাক। সেই জামিনের মেয়াদ শেষে ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে অন্তবর্তীকালীন জামিন নেন তিনি।