রামুতে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

41

রামুতে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১০) স্থানীয় বখাটে যুবক নুরুল আলম (৩২) ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর স্থানীয় একটি চক্র ৫ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু ধর্ষিতার পরিবার এতে রাজি না হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটি রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের একটি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। আর নুরুল আলম একই এলাকার গোলাম কাদেরের ছেলে বলে জানা গেছে।
ওই ছাত্রীর মা জানান, গত মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে লেবু দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নুরুল আলম তার মেয়েকে বাঁকখালী নদীর তীরে কাশেম মাস্টারের লেবু বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে মুঠোফোনে অশ্লীল ভিডিও দেখায়। এরপর জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে নুরুল আলম ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে জ্ঞান ফিরলে মেয়েটি বাড়িতে এসে বাবা-মাকে বিষয়টি বলে। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে পরদিন বুধবার স্থানীয় বাসিন্দা লুতু মাঝি ও আবদুল জলিলসহ স্থানীয় একটি চক্র তাদের ডেকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা এ টাকা নেননি। তারা এ ঘটনার বিচার দাবি ও ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
ছাত্রীটির মা আরও জানান, তারা খুবই দরিদ্র। এ কারণে রামু সদরে গিয়ে মেয়ের চিকিৎসাও করাতে পারেননি। ঘটনার পর থেকে মেয়েকে কেবল ব্যথার ঔষধ খাওয়াচ্ছেন। এ নিয়ে তিনি মামলা করবেন।
মেয়েটির স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, ছাত্রীর বাবা-মা বৃহস্পতিবার তাকে ঘটনাটি অবহিত করেন। বিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তিনি বিষয়টি অবহিত করেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জানান, বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা বাবা-মাসহ মেয়েটির সাথে কথা বলেন। বিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আরও জানান, ছাত্রীর পরিবার খুবই দরিদ্র। এলাকার একটি চক্র জোরপূর্বক বিষয়টি ৫ হাজার টাকায় নিষ্পত্তি করে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইসমাইল মো. নোমান জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। মেয়েটির পরিবারকে আইনি সহায়তাসহ সব সহযোগিতা করা হবে।