রামুতে চেয়ারম্যানের সশস্ত্র হামলায় ৩ কর্মী আহত

15

রামু উপজেলার রশিদনগর ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের ৩ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, রশিদনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি নজিবুল আলম, ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম এবং ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মিজানুল করিম। এদের মধ্যে নজিবুল আলম ও সাইফুল ইসলামকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাতেই কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
গত শনিবার রাতে রামুর রশিদনগর ইউনিয়নের পানিরছড়া মামুন মিয়ার বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের স্বজনরা জানিয়েছেন-রশিদনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলমের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে এ হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা ও রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএ আজমিরুজ্জামান খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান। ওসি কেএ আজমিরুজ্জামান জানিয়েছেন-এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে। বর্তমানে এখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় যারাই অভিযুক্ত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
হামলায় গুরুতর আহত নজিবুল আলমের বাবা বাদশা মিয়া ও ভাই শাহ আলম জানিয়েছেন- সন্ধ্যায় নজিবুল আলম ও সাইফুল ইসলাম পানিরছড়া মামুন মিয়ার বাজার জামে মসজিদের পাশে একটি চায়ের দোকানে অবস্থান করছিলো। এসময় চেয়ারম্যান শাহ আলম ও তার সহযোগী আবুল কাশেম, রমজান আলী, ফয়সালের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্র, দা, কিরিচ নিয়ে হঠাৎ তাদের উপর হামলা শুরু করে। হামলাকারীদের দা এর কোপে নজিবুল আলমের ডান হাত, সাইফুল ইসলামের মাথা ও হাত ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। এসময় হামলাকারীরা বাজারের অপরপ্রান্তে স্বাদ রেস্টুরেন্টের সামনে গিয়ে সেখানে থাকা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মিজানুল করিমকেও কুপিয়ে আহত করে।
বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান- সাথে সাথে খবর দিলেও পৌনে ১ ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ততক্ষণে সন্ত্রাসীরা সবাইকে কুপিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
রশিদনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও ইউপি ম্বেম্বার বজল আহমদ জানিয়েছেন- আহতরা সরকার দলীয় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করে। তার বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী মানববন্ধন, সমাবেশ ও অন্যান্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। এরই জের ধরে চেয়ারম্যান বিভিন্ন সময়ে তাদের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলো এবং সর্বশেষ শাহ আলম চেয়ারম্যান নিজে অস্ত্র ও দা নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।