রাঙ্গুনিয়ার পদুয়ায় নবনির্মিত চার ব্রিজ অবসান হলো দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ

17

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের রাজারহাট থেকে কমলাছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত খুরুশিয়া আব্দুল হামিদ সড়কের উপর নির্মাণ করা হয়েছে তিন ব্রিজ। এছাড়া এই সড়কের সাথে সংযুক্ত ব্রিজ ঘাটা দিয়ে বান্দরবানের সাথে সংযোগ সড়কেও নির্মিত হয়েছে আরও একটি ব্রিজ। এই চার ব্রিজে ওই এলাকার দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ অবসান হয়েছে। সম্প্রতি এই ব্রিজ চারটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে এই ব্রিজ গুলোর বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। এ ব্রিজগুলো চালু হওয়ায় কমলাছড়ি এলাকার প্রায় অর্ধ লাখ মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে। ব্রিজ এলাকায় এসে উৎসুক মানুষ আনন্দ-উল্লাস করেছেন। এই চার ব্রিজে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। উপজেলা প্রকৌশলী দিদারুল আলম বলেন, মানননীয় মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি মহোদয়ের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই চারটি ব্রিজ নির্মিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এই ব্রিজগুলোর নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করেছে। পদুয়া ইউনিয়নের পূর্ব খুরুশিয়া আব্দুল হামিদ সড়কের কানন বাজার এলাকায় খুরুশিয়া খালের উপর ৩০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজটি ৭২ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৯ টাকা, সড়কের কালীছড়ি এলাকায় কালিছড়ি খালের উপর ২০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজটি ৭৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮০৭ টাকা এবং একই সড়কের কমলাছড়ি এলাকায় খুরুশিয়া খালের উপর ৩০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৩৩২ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে।
এছাড়া একই সড়কের সংযুক্ত পূর্ব খুরুশিয়া গাজী শাহ সড়কে খুরুশিয়া খালের উপর ৩৩ মিটার দীর্ঘ ব্রিজটির নির্মাণ করা হয়েছে ৫২ লাখ ২১ হাজার ৯৮২ টাকা ব্যয়ে। এই চারটি ব্রীজ ১০ মিটার প্রসস্ত। ব্রিজগুলো সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, পদুয়া রাজারহাট আসতে আগে কমলাছড়ি এলাকার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এলাকার মানুষকে পায়ে হেটে খাল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হতো। বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের কারণে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা সম্ভব হতো না। তবে এখন পুরা সড়কেই গাড়ি দিয়ে অল্প সময়ে যাতায়াত করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সালাউদ্দিন বলেন, এলাকার মানুষ এতোদিন পানি ডিঙিয়ে বহু কষ্টে যাতায়াত করেছেন।
১২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক যেতে মানুষকে এই চার স্থানে তিনবার খাল পেরুতে হতো। তবে এবার এই খালগুলোর উপর ব্রীজ নির্মিত হওয়ায় এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এই সড়ক দিয়েও মানুষ এখন বান্দরবান যেতে পারবে। সম্প্রতি নির্মিত এই ব্রীজগুলো পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয়ের উপ সচিব তানভীর আজম সিদ্দিকী। এ সময় এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী তফাজ্জল আহমদ, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রকৌশলী দিদারুল আলম সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।