রাঙ্গুনিয়ার আইয়ুব হত্যা মামলার আসামি ওয়াকিল গ্রেপ্তার

233

রাঙ্গুনিয়ার আলোচিত আইয়ুব হত্যা মামলার আসামি ওয়াকিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২৫ ডিসেম্বর রাঙমাটির পর্যটন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গুনিয়া থানার এসআই ইসমাঈল হোসেন জুয়েল। ওয়াকিল আহাম্মদ রাঙ্গুনিয়ার আইয়ুব বাহিনীর প্রধান আইয়ুব হত্যা মামলার তিন নাম্বার আসামী। আব্দুস সোবহানের ছেলে ওয়াকিল। রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ জানান, রাঙ্গুনিয়া থানা থেকে আইয়ুব হত্যা মামলার আসামি ওয়াকিল রাঙামাটির পর্যটন এলাকায় অবস্থান করছে এমন খবর পেয়ে রাঙামাটির কোতোয়ালী থানার সহযোগিতায় চাওয়া হয়। রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ রাঙামাটির কোতোয়ালী থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওয়াকিলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। আইয়ুব হত্যা মামলার বাদি জাহেদা বেগম জানান, ৪ অক্টোবর আমার স্বামীকে বাসায় ফেরার পথে ধামাইর হাটে এলাকায় একা পেয়ে রাস্তার উপর গুলি করে। সন্ত্রাসীরা অটোরিক্সা করে এসে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহতবস্থায় আইয়ুবকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ দিন পর মারা যায়। আইয়ুব ইসলামপুর ইউনিয়নের খলিফাপাড়া গ্রামের মৃত ইছহাক মিয়ার পুত্র। সূত্রে জানা যায়, ৮০ দশকের পর থেকে আইয়ুর আর মেহেরুজ্জমার পারিবারিক বিরোধের মধ্য দিয়ে এলাকায় প্রথম সন্ত্রাসের বিস্তার ঘটে। আইয়ুব আর মেহেরুজ্জমা দু’জনেই গড়ে তোলেন আলাদা দুটি সন্ত্রাসী বাহিনী। একটা মেহেরুজ্জমা বাহিনী, আরেকটা আইয়ুব বাহিনী। সম্পর্কে তারা একে অপরের আতœীয়। এ দুই বাহিনীর হাতে গত ৩৯ বছরে প্রায় ২২ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আইয়ুর বাহিনীর আইয়ুব ১৯৯১ সালের ১৭ মার্চ দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের সোনারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মো. কবির আহমেদ ও মো. ছবুর আহমেদ নামে দুই সহোদরকে ধরে নিয়ে প্রকাশ্যে খেজুর কাঁটা দিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে দুই ভাইয়ের চোখ-মুখ এসিডে ঝলসে দেয়। এ ঘটনায় বিচার চাইতে গিয়ে আইয়ুব বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে খুন হন তাদের পিতা আবদুস সোবহান। যাকে নিজের হাতে কবর খুড়িয়ে জীবন্ত মাটিচাপা দেওয়া হয়েছিল। সোবহান হত্যা মামলায় আইয়ুবের যাবজ্জীবন সাজা হয়। সে ১৯৯৬ সালে গ্রেপ্তারের পর দীর্ঘ ১৩ বছর কারাভোগ করে ২০১৫ সালে জামিনে বের হয়।কারাগার থেকে জামিনে বের হবার পর আইয়ুব অনেকটা শান্ত হয়ে যায়। নিরিবিলি থাকার জন্য নিজ বাড়িঘর ছেড়ে লালানগর ইউনিয়নের ফকিরপাড়া এলাকার ফরিদ মিয়ার বিল্ডিংয়ে ভাড়া থাকত।