রাঙামাটিতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের ডিসির চেক প্রদান ও ত্রাণ বিতরণ

32

একটি প্রবাদ আছে মরার উপর খড়া, এমনিতেই মানুষ কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের প্রভাবে অস্থির ও কর্মহীন। এদিকে আবার অগ্নিকান্ডের ঘটনা। রাঙামাটিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৪টি ভাড়া বাসা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।আজ শনিবার সকালে শহরের বির্জাভমূখ এলাকার সাবেক পৌর চেয়ারম্যান কাজী নজরুল ইসলাম কলোনীতে এই অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়। এতে ৩টি কাচা পাকা বসত ঘরবাড়ি পুড়ে যায়। এতে ১৪টি ভাড়াটিয়া পরিবার ছিল বলে ফায়ার সার্ভিস নিশ্চিত করেছেন। খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিস,পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার প্রাণপাণ চেষ্টা চালায়। এদিকে অগ্নিকান্ডে খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় জেলা প্রশাসক ১৪ পরিবারের মধ্যে ৩ হাজার টাকা করে চেক প্রদান করে। এবং ১৪ পরিবাররের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। ত্রাণের মধ্যে রয়েছে ১৫ কেজি চাউ, ৬ কেজি আলু, ৩ কেজি ডাল ও ১ লিটার সোয়াবিন তেল। ১৪ পরিবারকে মোট ৪২হাজার টাকার চেক প্রদান করেন জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসক বলেন,কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস মহামারিতে অগ্নিকান্ড ঘটেছে সত্যি এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। অপর দিকে মাহে রমজান সব কিছু মিলিয়ে আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে আমরা ধৈর্ষ্য ধারন করে সব কিছু মোকাবেলা করবো। সরকারের বিধি বিধান মেনে চলবো। জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে যে সহযোগি দেওয়া হয়েছে তা দিয়ে আপনারা চলতে থাকুন। প্রয়োজনে ফের সাহায্য করা হবে। স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রান্না ঘরের চুলা থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে এবং মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিস অফিসে ফোন দিলে রাঙ্গামাটি ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকান্ড ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অগ্নিকান্ডে তারা সর্বহারা হয়ে পড়েছে। কিছুই বের করতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো। স্থানীয়রা বলছেন আনুমানিক ২০-৩০লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সাবেক পৌর সভার চেয়ারম্যান কাজী নজরুল ইসলাম জানান,তার ৩টি বড় আধাপাকা বসত বাড়িতে মোট-১৪টি ভাড়াটিয়া পরিবার ছিল। সবার বসত ঘর পুড়ে গেছে। এত দ্রুত আগুন চারদিক ছড়িয়ে পড়েছে এতে কেউ কিছুই বের করতে পারেনি। তবে গ্যাসের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার উদয়ন চাকমা জানান,গ্যাসের চুলার আগুন থেকে অগ্নিকান্ড ঘটেছে। আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারনা করেছি ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান আনুমানিক ৮-৯লক্ষ টাকার মত হতে পারে। বাড়ির মালিক সাবেক পৌর চেয়ারম্যান কাজী নজরুল ইসলাম আমাদেরকে জানিয়েছেন তার বড় বড় ৩টি বাড়িতে প্রায় ১৪ পরিবার ভাড়াটিয়া ছিলেন সবার বসত ঘর পুড়ে গেছে।