রক্তে রাঙানো ফেব্রুয়ারি

0
রক্তে রাঙানো  ফেব্রুয়ারি

পূর্বদেশ ডেস্ক

মায়ের ভাষা বাংলা ভাষা। এ ভাষায় কথা বলতে পারা গৌরবের। পৃথিবীতে অনেক ভাষাভাষী মানুষ বাস করে। যার যার ভাষা তার জন্য মর্যাদাবান। কোনো ভাষা ছোট নয়। সৃষ্টির সেরা মানবজাতি। মানব সমাজ নিজের চিন্তা-চেতনা মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য ভাষা ব্যবহার করে। ভাষার ব্যবহার পৃথিবীর শুরু থেকে ছিলো। এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। সব ভাষা জাতীয়ভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে না। একটা দেশে অনেক ধরনের ভাষাভাষী জনগণের বসবাস হলেও সেখানে স্থানীয় এবং জাতীয়ভাবে বহু ভাষার প্রচলন চলতে থাকে। তন্মধ্যে একটি মাত্র জাতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে। জাতীয় ভাষার মাধ্যমে অফিস আদালত শিক্ষা, সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা পায়। স্থানীয়ভাবে জেলা উপজেলায় বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে স্থানীয় ভাষা প্রচলন দেখা যায়। স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর ভাষা আছে এবং থাকবে। সেগুলো আঞ্চলিক ভাষা হিসেবে আমরা জানি। এসব ভাষা আমাদের সংস্কৃতি হিসেবে চালু আছে। এগুলো থাকবে।
এসব ভাষা সংস্কৃতি, কালচার নিয়ে বাঙালি জাতি। বাঙালি জাতির হাসি খুশি, আনন্দ-উৎসব ঐতিহ্য বাংলা ভাষা নিয়ে। আঞ্চলিক ভাষাতেও আমাদের দেশে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আঞ্চলিকভাবে হয়ে থাকে। কোনো কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান জাতীয়ভাবেও পালিত হয়। বাঙালি জাতি তার সংস্কৃতি ঐতিহ্য আদর্শ নিয়ে বেঁচে আছে। আগামীতে এ সংস্কৃতি সভ্যতা কালচার দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাবে। ভাষার জন্য বাঙালি জাতির অবদান, ত্যাগ কখনো ছোট করে দেখার মতো নয়। স্বাধীনতার আজকের এ বয়সে ভাষা দিবস এবং বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধি ও প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক লেখক বুদ্ধিজীবী তাদের অমূল্য মতামত এবং পরামর্শ রেখে গেছেন। বাংলা ভাষার প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রীয় যত ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে সবগুলো প্রতিষ্ঠান বাংলাকে সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠার জন্য অবিরাম ত্যাগ দিয়ে যাচ্ছে। তাদের চেষ্টা ও প্রচেষ্টার সুফল হচ্ছে আজকের বাংলা ভাষার এ অবস্থান। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাকে নিয়ে গবেষণা, কর্মসূচি, প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন না করলে এভাবে মায়ের ভাষা সমাদৃত ও প্রতিষ্ঠিত হতো না। তাই এসব কর্মকান্ডে যারাই কাজ করছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা।