যুক্তরাষ্ট্রের সাথে উত্তেজনা নিরসনে আলোচনা

39

উপসাগরীয় এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি জোরালো করার পর সৃষ্ট উত্তেজনা নিরসনে ওয়াশিংটন ও তেহরানকে আলোচনার আহব্বান জানিয়েছেন ইরানের এক সিনিয়র আইন প্রণেতা। ইরাক বা কাতারে এই আলোচনা হতে পারে বলে মত দিয়েছেন ইরানের পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা ও বৈদেশিক নীতি কমিটির চেয়ারম্যান হাশমতউল্লাহ ফালাহাত পিশেহ। শুক্রবার তিনি এই আহব্বান জানিয়েছেন। ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল শুরু করে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণার বর্ষপূর্তির দিনে চুক্তি থেকে আংশিক সরে যাওয়ার কথা জানিয়ে দেয় তেহরান।
এরপরই ইরানের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ বৃদ্ধির অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে উগসাগরীয় এলাকায় বিমানবাহী রণতরী ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ যুদ্ধসরঞ্জাম মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের হুমকি মোকাবিলায় ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললেও তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ শুরুর অভিযোগ এনেছে। শুক্রবার এক টুইট বার্তায় ইরানের স্বতন্ত্র আইন প্রণেতা হাশমতউল্লাহ বলেন, ‘ইরাক বা কাতারে নিশ্চয়ই একটা টেবিল পাওয়া যাবে যেখানে দুই পক্ষ উত্তেজনা নিরসনে আলোচনায় বসতে পারে’। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের প্রতি মনোভাব পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেওয়ার পরই আলোচনার আহব্বান জানালেন ইরানের আইন প্রনেতা।
ওয়াশিংটন তেহরানের সাথে যুদ্ধে জড়াচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, ‘আশা করছি না’। এর একদিন আগে এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে ইরান খুব শিগগিরই আলোচনায় বসতে চাইবে’। এরপরই ফালাত পিশেহ আলোচনায় বসতে দুই পক্ষকে আহব্বান জানান। পিশেহ’র মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এরপরই প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির নেতৃত্বাধীন ইরানের সর্বোচ্চ ন্যাশনাল কাউন্সিল বলেছে, ‘কোনও ব্যক্তি বিশেষের বক্তব্য নীতি নির্ধারণি বিবৃতি হিসেবে নেওয়া উচিত নয়’। কাউন্সিলের তরফে বলা হয়, সরকারের তরফে একমাত্র তাদেরই নীতি নির্ধারণের ক্ষমতা রয়েছে।