মানবপাচার প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক বেতার সংলাপ

59

২০১৯ সালে কক্সবাজারে ৪৬টি মামলা হয়েছে। সেখানে মানবপাচার, পতিতাবৃত্তিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে কক্সবাজারের ৩০টির মতো আবাসিক হোটেল বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অপরাধ কর্মের বিরুদ্ধে পুলিশসহ আইন শৃখলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। মানবপাচার প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক বেতার সংলাপে এ তথ্য জানালেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন। বাংলাদেশ বেতারের আয়োজনে গত ১২ মার্চ জেলা ইপিআই সেন্টার কনফারেন্স হলে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক মুহাম্মদ আলী জিন্নাতের সঞ্চালনায় বেতার সংলাপে পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন প্রধান অতিথি ছিলেন। আলোচনায় তিনি বলেন, মানবপাচারের বিষয়ে আমরা কঠোর। মাদক, মানব পাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে। তবে, ২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত একটি মানব পাচার মামলাও আদালতে নিষ্পত্তি হয়নি। তিনি বলেন, মানবপাচার প্রতিরোধে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। পুলিশ সুপার বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের মতো করে কথা বলে। পোষাক পরিচ্ছদও অনেকটা আমাদের ন্যায়। অনেক সময় তাদের চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে যায়। তাই চেকপোস্টে ফাঁকি দিয়ে পার পেয়ে যায়। তিনি বলেন, মিথ্যা প্রলোভনে ফেলে এক শ্রেণির দালাল সরল-সহজ মানুষকে পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে। দালালদের তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করুন। দালালদের মাধ্যমে বিদেশে না যেতে ব্যাপক জনমত গড়ে তোলার আহব্বান জানান পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন। বেতার সংলাপে বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ কে এম ফজলুল করিম চৌধুরী, সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, ইউনিসেফের প্রটেকশন স্পেশালিস্ট শায়লা পারভীন লোনা, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি এডভোকেট প্রতিভা দাশ। মানবপাচার বিষয়ে প্যানেল আলোচকদের কাছ থেকে জানতে প্রশ্ন করেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোক। সবাই মানবপাচারের সঠিক কারণ চিহ্নিত করে তা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেন। বেতার সংলাপে বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজারের আঞ্চলিক পরিচালক ফখরুল করিমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয়, ইউনিসেফের চাইল্ড হেল্প ডেস্ক নাম্বার ১০৯৮ তে যোগাযোগ করে পাচার সংক্রান্ত তথ্য জানানো যাবে।