মাঠ থেকে লবণ লুট খুটাখালীতে

6

সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও

লবণ মাঠের পলিথিনের সাথে এ কেমন শত্রুতা! যে সময়ে দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেয়া ঋণ শোধ করার জন্য লবণ উৎপাদনে যুদ্ধ নেমেছে প্রান্তিক চাষীরা, এমনতর সময়ে স্থানীয় অসহায় এক চাষীর লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। লুট করে নিয়ে গেছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার লবণ ও সেলু মেশিন। ভুক্তভোগী লবণ চাষী আনোয়ার হোসেন এ জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের বড় নাইফর ঘোনায়। গতকাল শনিবার ভোরগত মধ্যরাত আনুমানিক ৩ টার দিকে দক্ষিণ ফুলছড়ি ৮নং ওয়ার্ডের মৃত নুর হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেনের লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাতের অন্ধকারে লবণ মাঠের পলিথিন কেটে লবণ উৎপাদন ব্যাহত করেছে বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী লবণ চাষী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ‘এক সনা’ হিসেবে লবণ চাষী আনোয়ার তার অপারপর ভাইদের কাছ থেকে চুক্তিসাপেক্ষে ৪ কানি মাঠ লবণ চাষের জন্য নেয়। এভাবে আরো ৬/৭ কানি লবণ মাঠে চাষ করে আসছেন।ঘটনার দিন রাতে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার নুরুল আজিমের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্তরা লবণ মাঠের পলিথিন কেটে ‘অর্ধ ফুটন্ত’ লবণ নষ্ট করে ফেলে বলে অভিযোগ করেন আনোয়ার। সকালে লবণ মাঠে গিয়ে আনোয়ার এ অবস্থা দেখেন।
আনোয়ার হোসেন জানান, নুরুল আজিমের সাথে পারিবারিক সম্পত্তির বিরোধ রয়েছে। বিগত কয়েক বছর পূর্বে থেকে আমার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার পিছু লেগেছে। ২০২২
সালে চকরিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছিলাম। এরপর থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিনিয়ত আমার পরিবারের ক্ষতি করে আসছে। একই সাথে ওই মামলা প্রত্যাহার করে নিতে নানা ধরনের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এসব কারনে যে কোনো মুহূর্তে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। ফলে আমি বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় গত ১৩ এপ্রিল সাধারণ ডায়েরি করেছি। এতে সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমি সামান্য লবণ মাঠ করে সংসার চালাই। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিবেন জানিয়ে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
তবে অভিযুক্ত নুরুল আজিম মেম্বার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, মূলত তারা আমার বন্ধকীয় ঐ ৪ কানি মাঠ দখল করছে। কিছুদিন পূর্বে আমার মাঠের চাষাকে মারধর করে
পলিখিন ও মেশিন লুট করে নিয়ে গেছে। তারা সম্পূর্ণ গায়ের জোরে একের পর এক ঐ চিংড়ি ঘেরের লবণ মাঠে লুটপাট ও তান্ডব চালিয়ে আসছে। তাদের কাছে পুরো ফুলছড়িবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাদের বিরুদ্ধে থানা প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দেয়া
আছে।
চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, এ বিষয়ে কেউ অবগত করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।