মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে চবি ভিসি প্রফেসর শিরিণ ন্যায়পরায়নতার দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন শিক্ষক বাসবী বড়ুয়া

9

 

চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষাতত্ত্ব বিভাগের মেধাবী শিক্ষক অধ্যাপক বাসবী বড়ুয়ার অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও পরিবার বর্গের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর শিরীণ আখতার। ভিসির সাথে একাধিক সহকর্মি শিক্ষকবৃন্দ ২৩ জুলাই শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে উপস্থিত হয়ে বাসবির মরদেহে পুস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার শিক্ষা ও শিক্ষকতা জীবনের সততা, ন্যায়পরায়নতা ও গুণাবলীর কথা তুলে ধরেন। ভিসি বলেন, এরকম মেধাবীর অকাল প্রয়াণে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হলো। শোক জানিয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বড়য়া, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান ও বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির নেতৃবৃন্দ। বিকালে তার গ্রামের বাড়ি তেকোট-মুকুটনাইটস্থ বাংলাদেশ বৌদ্ধ সেবাসদনে শেষকৃত্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এত যোগদেন পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল। ঊনাইনপুরা লঙ্কারাম অধ্যক্ষ বোধিমিত্র মহাথেরো’র সভাপতিত্বে শেষকৃত্যানুষ্ঠানে তার কর্মময় জীবনের উপর আলোকপাত করেন- সেবাসদন অধ্যক্ষ শীলপ্রিয় মহাথের, ড. সংঘপ্রিয় মহাথের, তিষ্যমিত্র থের, অধ্যাপক অমলেন্দু বিকাশ বড়ুয়া, জুয়েল বড়ুয়া, মৃদুল কান্তি বড়ুয়া, রাজীব বড়ুয়া প্রমূখ। সূচনা বক্তব্যদেন- বৌদ্ধ সেবাসদনের মহাসচিব সংগঠক-সংস্কৃতিকর্মি সরিৎ চৌধুরী সাজু। পরিবারের পক্ষে বক্তব্যদেন- বাসবির ছোট ভাই মেটলাইফ এর এ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট কামনাশীষ বড়–য়া। মেধাবী বাসবী বড়–য়া ইংরেজি সাহিত্যে লেখাপড়া করেছেন। জীবনের সর্বোচ্চ বিদ্যাশিক্ষা পিএইচিডি ডিগ্রী অর্জন করতে সক্ষম হলেও মরণব্যাধী ক্যান্সারের কাছে পরাজিত হয়েছেন। শিক্ষাজীবনের প্রতিটি ধাপে নিজেকে উতরিয়ে নিয়েছেন। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে টেলেন্টপুলে বৃত্তি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ড থেকে ষ্ট্যান্ড করা মেধাবী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাষ্টার্স এবং ভারতের জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় ডাবল মাস্টার্স করে ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে অত্যন্ত গৌরবের সাথে ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দিয়েছিলেন। ব্যক্তি জীবনে অবিবাহিত এই মেধাবী বেশ ক’বছর ঢাকায় ডেফোডিল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেছিলেন। প্রাচীন সাহিত্য চর্যাপদ নিয়ে গবেষণা করেছেন। নারী জাগরণেও ভূমিকা রাখেন অধ্যাপক বাসবী বড়–য়া।